শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা : কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশ পথের প্রধান সড়কগুলো যেন এখন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। কান্দিরপাড়-আলেখারচর, টমছমব্রিজ-বাখরাবাদ, কান্দিরপাড়-ধর্মপুর এবং টমছমব্রিজ-কোটবাড়ি সড়কে জায়গায় জায়গায় বিশাল গর্ত, উঠে যাওয়া কার্পেটিং, ভাঙাচোরা পিচ ও জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগের নতুন নাম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন এসব ঝুঁকিপূর্ণ পথে চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। বৃষ্টির পানিতে গর্ত ঢেকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর এমন করুণ দশা কর্তৃপক্ষের অবহেলারই প্রমাণ। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন জনসাধারণ। যদিও বর্ষার দোহাই দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কগুলোর সংস্কার নিয়ে দায়সারা কথা বলছেন। কুমিল্লার জমিনের বিশেষ পর্বে ৪ টি সড়কের ভোগান্তির কথা তুলে ধরা হলো -
কান্দিরপাড়-আলেখচর সড়ক এখন মরণফাঁদ
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে আলেখারচর বিশ্বরোডের অন্তত এক কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত, উঠে যাওয়া পিচ ঢালাই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথর সব মিলিয়ে সড়ক নয়, যেন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। মাঝেমধ্যে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। অথচ এই সড়কটি নগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। এখানে রয়েছে কুমিল্লা নগরের বৃহত্তম বাসস্ট্যান্ড 'শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ড'। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় হাজার হাজার মানুষের চলাচল৷
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কুমিল্লা নগরে প্রবেশের অন্যতম এই ব্যস্ত সড়কটির কথা ভুলেই গিয়েছেন প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে এই গর্তগুলো সড়কে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। এক সময় গর্তগুলো ছোট ছোট থাকলেও এখন সেগুলো এখন বড় হয়ে রূপ নিয়েছে মরণফাঁদে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। বর্ষার পানিতে সেই ক্ষত আরও বেড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। পানিতে গর্তগুলো ঢেকে যাওয়ায় না বুঝে গাড়ি সেখান দিয়ে চলাচল করলেই ঘটে দূর্ঘটনা।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে কুমিল্লা নগরী থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে দুর্গাপুর এলাকার দিঘীরপাড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটির প্রবেশমুখেই সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্তই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। দুরবস্থার কারণে চালকরা গর্ত এড়িয়ে এঁকেবেঁকে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও, গর্ত থাকায় হেলে দুলে চলছে গাড়িগুলো। এতে গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীরা পোহাচ্ছেন ভোগান্তি। রোগী বহনের ক্ষেত্রেও এই সড়ক প্রায় অচল। অথচ এটি কুমিল্লার উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের অন্যতম যোগাযোগপথ।
এই সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাসপোর্ট অফিস পার হয়ে ওষুধ মার্কেট এলাকা, শাসনগাছা ফ্লাইওভারের দুই পাশে, দুর্গাপুর দিঘিরপার বাজার ও আলেখারচর এলাকায়। প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, শত শত বাস, ট্রাক, পণ্যবাহী গাড়ি ও তেলের লরি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
যাত্রীদের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় বর্ষায় তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হওয়া অন্তত পাঁচজন পথচারী এই প্রতিবেদককে ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, বড় যানবাহন কষ্ট করে চললেও অটোরিকশা নিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা হেলে পড়ে, এতে যাত্রীরা আহত হন। কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মালামাল নিয়ে যাতায়াত এখন অনেকটাই অসম্ভব। এগুলো দেখার কি কেউ নেই। স্থানীয়দের দাবি, যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা জরুরি।
ভোগান্তির আরেক নাম টমসমব্রীজ-বাখরাবাদ সড়ক
টমছমব্রিজ-মেডিকেল কলেজ-বাখরাবাদ সড়কের অবস্থা এখন ভয়াবহ। এই সড়ক দিয়ে চলাচলত যাত্রীদের মনে হয় 'ভোগান্তির আরেক নাম টমসমব্রীজ-বাখরাবাদ সড়ক। বড় বড় গর্তে জমে থাকা পানি দেখে মনে হয় সড়ক নয়, যেন জলাশয়। প্রতিদিন অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী যান, পোশাককর্মী ও শিক্ষার্থী এ পথে চলাচল করেন। পথে রয়েছে ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইপিজেড, পিবিআই, সদর উপজেলা পরিষদ, বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এই সড়ককে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বলা চলে।
এই সড়কে কাজ শুরু হয়েছে এমন আশার দৃশ্য সিটি কর্পোরেশন থেকে দেখানো হলেও বর্ষার দোহাই দিয়ে সেটিও বন্ধ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। এতে খানাখন্দ যেন আরো বেড়ে গিয়েছে। যদিও সিটি কর্পোরেশন বলছে আগের তুলনায় এই সড়ক অনেক বেশি চলাচল উপযোগী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে এই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড ১ নং গেইট পর্যন্ত সড়ক যেন দাঁড়িয়েছে মরণফাঁদ হয়ে। এই সড়ক দিয়ে গাড়িগুলো চলছে একপ্রকার বাধ্য হয়ে। বড় বড় গর্তে পড়ে মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ির ইঞ্জিন। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এছাড়াও রোগীবাহী এম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়েও সঠিক সময়ে রোগী নিয়ে পৌঁছাতে পারেন না মেডিকেলের জরুরী বিভাগের সামনে। এতে অনেক সময় রোগীর জীবনের ঝুঁকির কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
টমসমব্রীজ-মেডিকেল সড়কে প্রতিদিন চলাচল করা অন্তত ১০ জন যাত্রী এই প্রতিবেদককে বলেন, এই সড়কে রোগী নিয়ে গেলে গর্তে ধাক্কা খেয়ে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় তো গর্ত দেখা যায় না, তখন দুর্ঘটনার ঝুঁকি দ্বিগুণ। পানি ময়লা, আবার সড়ক পিচ্ছিল। এতে যাত্রীদের অনেক সময় পড়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। এই সড়ক দিয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে রোগী আসলে রোগীর সাথে যারা আসে তারাও অসুস্থ হয়ে যায়। দ্রুত এই সড়ক পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।
হেলে দুলে গাড়ি চলছে নগরীর কান্দিরপাড়-ধর্মপুর সড়কে
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে রাণীর বাজার হয়ে ধর্মপুর সড়কের কয়েকটি জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, কান্দিরপাড়ের প্রবেশ মুখ থেকে শুরু হয়ে রাণীর বাজার পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে সড়কগুলোতে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে
সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানি উঠে যায় সড়কগুলোতে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবেও এমন পানি উঠে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার দুপুরে এই সড়কের নজরুলের এভিনিউ, ফরিদা বিদ্যায়তনের সামনে, করভবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আধা কিলোমিটার ভাঙ্গা এই সড়কের জন্য যানজটে পড়তে হয় এই সড়কে চলাচলরত সকল যাত্রীদের। ভোগান্তি ও পোহাতে হয় চরমে। কোথাও ভাঙা পিচ, কোথাও আবার খানাখন্দে ভরা। এতে পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহন চালকরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এছাড়াও, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ডুবে যায় হাঁটুসমান পানিতে। পানি সরতে সময় লাগে কয়েক ঘণ্টা, কখনও কখনও পুরো দিন। এই পানির নিচে লুকিয়ে থাকা গর্ত ও ভাঙাচোরা অংশ অনেক সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য ফাঁদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব স্থানে উল্টে যাওয়ার বা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এলাকাবাসীর আশা, দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করে এই সড়কটিকে আবারও নিরাপদ ও চলাচলযোগ্য করে তোলা হবে।
এই সড়কে চলাচলত অন্তত ১০ জন পথচারী অনেকটা আক্ষেপ হয়ে এই প্রতিবেদককে বলেন, কুমিল্লা নগরীর যদি এমন চিত্র হয় তাহলে সংস্কৃতির এই শহরে বাইরের মানুষ ঘুরতে আসলে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। নজরুল এভিনিউ কুমিল্লা নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা। এখানে সড়কের এই ভগ্নদশা থেকে কবে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ। দ্রুত এই সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করতে আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
বড় বড় গর্ত আর খানা-খন্দে ভরা টমসমব্রীজ কোটবাড়ি সড়ক
কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ। কিছু জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে পাথর ও মাটি, যা সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা হয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
প্রতিদিন এই ব্যস্ত সড়ক দিয়ে শহরের কেন্দ্র থেকে কোটবাড়ি, শালবন বিহার, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গন্তব্যে হাজারো যানবাহন চলাচল করে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার কাজ না হওয়ায় দুর্ভোগের মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সড়কের বর্তমান অবস্থা এমন যে, প্রতিটি যানবাহনকে খানাখন্দ এড়িয়ে ধীরে ধীরে এগোতে হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে টমসমব্রীজ হয়ে দৌলতপুর, দিদার মার্কেট এলাকা, বলরামপুর, মঠপুষ্কুরুনী এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, এই এলাকাগুলোতে সড়কটির বেহাল দশা। একেকটি গর্ত যেন এক হাত গভীর হবে। এই প্রতিবেদকের উপস্থিতিতেই বেশ কয়েকটি গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি যেন বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে
স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দীর্ঘদিনের অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে এই সড়ক এখন দুর্ঘটনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির চাকা গর্তে আটকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আবার অনেকে পড়ে যাচ্ছেন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে।
যাত্রীদের অভিযোগ, সড়কটির দ্রুত সংস্কার না হলে দুর্ভোগের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও বাড়বে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এই সড়ক গুলোর ভোগান্তি ও সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সচিব মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী মুঠোফোনে বলেন, টমসমব্রিজ থেকে বাখরাবাদ সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এখন অনেকটাই চলাচল উপযোগী হয়েছে। এছাড়াও নগরীর সবগুলো সড়কেই কাজ শুরু হবে। আমরা বর্ষাকাল শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। বর্ষাকালে কোনভাবেই রাস্তার কাজ করা সম্ভব না। বর্ষাকাল শেষ হলেই রাস্তাগুলো পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে।
জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তাফা মুঠোফোনে বলেন, টমসম ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি, বাখরাবাদ ও কান্দিরপাড় থেকে আলেখারচর এই তিনটি সড়কেই আমাদের কাজ করার পরিকল্পনা আছে। আমরা দরপত্র আহবান করেছি সেগুলোর জন্য। দরপত্র এপ্রুভ হলেই আমরা কাজ শুরু করব। তাছাড়া বর্ষাকালে কাজ করা সম্ভব না। বর্ষাকাল শেষ হলেই সেগুলোর কাজ শুরু হবে।