শিরোনাম
◈ নির্বাচনে ঋণখেলাপিরা অংশ নিতে পারবেন না: অর্থ উপদেষ্টা ◈ জনগণই নির্ধারণ করবে আগামী দিনে কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে : নিপুণ রায় ◈ জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু ◈ বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না ◈ চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: ‘পুলিশের পোশাক পরা লোকদের হিন্দিতে কথা বলতে শুনি’ ◈ আপনারে কে এখানে বসাইছে, তার কইলজা খুলিহালাইম, আপনার কইলজাও খুলমু: : কুমিল্লায় বিএনপি নেতার হুমকি ◈ ১১৭ দেশে এই প্রথম নজিরবিহীন তল্লাশি, এস আলম গ্রুপের ৪৭০ ‘শ্যাডো’ কোম্পানিতে লুকানো ২ লাখ কোটি টাকা ◈ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেয়ার জন্য স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পুলিশ কর্মকর্তার খোঁজে হিমশিম পুলিশ প্রশাসন ◈ বাংলা‌দে‌শে ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনসহ যেসব বিষয় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে ◈ ঢাকার উদ্দেশে মালয়েশিয়া ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

বাংলা‌দে‌শে ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনসহ যেসব বিষয় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে

এল আর বাদল : বাংলাদেশে রাজনীতিক ও ইমামদের ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য, গত সরকারের আমলে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে নিহতদের সংখ্যা এখনো প্রকাশ না করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ বেশকিছু বিষয় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বার্ষিক এই প্রতিবেদনে দেশের 'পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল' থাকলেও 'কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ' রয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।

যদিও ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার ক্ষেত্রে কোনো কোনো বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে তা উল্লেখ করা হয়নি। -----সূত্র, বি‌বি‌সি বাংলা

প্রতিবেদনটি করা হয়েছে ২০২৪ সালে, অর্থাৎ গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।

ওই বছরের ৫ই অগাস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। আন্দোলনে ওই সরকারের পতনের পর ৮ই অগাস্ট ক্ষমতায় আসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

এদিকে, বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে। আর অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে 'মব' সন্ত্রাস, গায়েবি মামলা ও সংখ্যালঘু নিপীড়ন।

মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য ঢাকায় মানবাধিকার মিশন চালু করতে জাতিসংঘ ও সরকারের মধ্যে সম্প্রতি সমঝোতা হয়েছে। যদিও ধর্মভিত্তিক কিছু দল এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

সরকার অবশ্য বলেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পালনে বাংলাদেশকে সহায়তা করাই তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টে কী কী বিষয় আছে

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর '২০২৪ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাক্টিসেস: বাংলাদেশ' শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়েছে, অগাস্টের কিছু ঘটনার পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হলেও 'কিছু বিষয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে'।

এই রিপোর্টে মূলত গত বছরে আওয়ামী লীগ সরকার যতটা সময় ক্ষমতায় ছিল সে সময়কার ঘটনা আর জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের সময়কার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে।

বলা হয়েছে, গত সরকারের আমলে মানবাধিকার ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তথ্য আছে যেসব বিষয়ে, তার মধ্যে আছে–– বেআইনি হত্যা, গুম, নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা, অমানবিক শাস্তি, নির্বিচারে আটক ও গ্রেফতার, প্রবাসে থাকা সমালোচকদের হয়রানি, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, যার মধ্যে আছে সাংবাদিকদের সহিংসতার হুমকি, অযৌক্তিক গ্রেফতার ও বিচার এবং সেন্সরশিপ, শ্রমিকদের সংগঠন করার ওপর বিধিনিষেধ এবং শিশু শ্রমের মতো বিষয়গুলো।

"গত সরকারের সময়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপকভাবে দায়মুক্তির তথ্য পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বা সরকারি কর্মকর্তা যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির খুবই কম ছিল," রিপোর্টে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে গত সরকারের যারা জড়িত ছিল, অভিযোগ রয়েছে তাদের অনেককে আটক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

জুলাই ও অগাস্টে তখনকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে এগুলো এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে একসাথে কাজ করছে।"

"অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল—উভয়কেই কাজে লাগানো হচ্ছে," বলা হয়েছে এতে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগের সরকার কখনো নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা মোট কতজন নিহত হয়েছে তার কোনো সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।

"তারা ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের কোনো উদ্যোগও নেয়নি। কিছু ক্ষেত্রে তখন শুধু প্রশাসনিক শাস্তি হয়েছে," প্রতিবেদনে বলা হয়।

স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটিকে উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর ১৬ই জুলাই থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৯৮৬ জন নিহত হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত বছর ২০শে সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলো যে সহিংসতায় ১৪২৩ জন মারা গেছে এবং ২২ হাজার আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশই বুলেট বিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।

নিহতদের ৭০ শতাংশই ৩০ বছরের কম বয়সি এবং ৫২ শতাংশই ছিল ছাত্র। নিহতদের মধ্যে ১০৭টি শিশু, ৬ সাংবাদিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ৫১ জন সদস্য ছিল।

সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের বিষয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর অক্টোবর ও নভেম্বরে গত সরকার বা তখনকার সরকারি দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল এমন ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে।

"আগের সরকার সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে ব্যবহার করেছে সরকারের যারা সমালোচনা করেছে তাদের বিরুদ্ধে"।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগের সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা নির্যাতনসহ বিভিন্ন নিষ্ঠুরতার তথ্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও সংবাদমাধ্যমের খবরে এসেছে।

বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য ও জঙ্গিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী নির্যাতন করেছে বলে তথ্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।

রিপোর্টে গত সরকারের সময়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে বা বিজ্ঞাপন না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির ওপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে থাকা অভিযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে।

"বিরোধী রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও বিবৃতি প্রচার কিংবা সমালোচনামূলক রিপোর্ট প্রকাশের কারণে সংবাদমাধ্যমকে শাস্তির মুখে পড়তে হতো। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এসব পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে," রিপোর্টে বলা হয়েছে।

এছাড়া এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটিতে অল্প কিছু ইহুদি পরিবার ছিল। রাজনীতিক ও ইমামরা অ্যান্টিসিমেটিক (ইহুদিবিদ্বেষ) বিবৃতি দিয়েছে।

এখন উদ্বেগ কী নিয়ে

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে এখন কোনো কোনো বিষয়ে উদ্বেগ আছে তা নিয়ে কিছু না বললেও স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠকরা বলছেন, এখন বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে 'মব সন্ত্রাস, গায়েবি মামলা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন'।

বিশেষ করে দলবদ্ধ হয়ে সহিংসতা, যাকে 'মব সন্ত্রাস' বলা হচ্ছে, এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে, যাতে ব্যক্তি ও স্থাপনা আক্রান্ত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনাও অনেক ঘটেছে।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ছাড়াও দেশজুড়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন অনেকের এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা আলোচনায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই।

এছাড়া মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে নতুন একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অজ্ঞাতনামা লাশ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ২৯৪টি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন বা এমএসএফ।

মানবাধিকার সংগঠক নূর খান লিটন বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি কিছু ক্ষেত্রে হয়েছে, তবে সবক্ষেত্রে হয়নি।

"মব তৈরি করে চাঁদা দাবি, শারীরিক নির্যাতন করে অসম্মান করা, নির্যাতন করে পুলিশের হাতে দেয়া, আদালত চত্বরে হেফাজতে থাকা আসামিদের ওপর হামলাসহ নানা ঘটনা তো দেখছি আমরা," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, এমনকি হাসপাতালে থাকা বন্দিকেও নির্যাতনের তথ্য এসেছে।

মবের ভয় রাজপথ থেকে আদালত প্রাঙ্গণে চলে গেছে। ভুয়া মামলা হয়েছে ও হচ্ছে । একই ব্যক্তি একই সময়ে তিন জেলার ঘটনায় মামলার আসামি হয়েছে। সাংবাদিকদের ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে। মামলায় নাম দেয়া হবে ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ এসেছে। এগুলো মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন," বলছিলেন নূর খান লিটন।

মানবাধিকার সংগঠন 'হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছর শুধু জুলাই মাসেই মব সন্ত্রাস ও গণপিটুনির ৩২টি ঘটনায় ১২ জন মারা গেছে।

এছাড়া ওই মাসেই যৌথ বাহিনীর গুলিতে পাঁচজন এবং একজন পুলিশ হেফাজতে নিহত হয়েছে বলে সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে বলেছে।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) বলছে, জুলাই মাসে অন্তত ৫১টি গণপিটুনি বা মব সহিংসতার ঘটনায় এতে ১৬ জন নিহত এবং ৫৩ জন গুরুতর আহত হন। গণপিটুনির শিকার ৩০ জনকে আহত অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, জুলাই মাসে কারা হেফাজতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এমএসএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এ মাসে চারজন কয়েদি ও ছয়জন হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান বলছেন, "এখন ক্রসফায়ার শোনা যায় না এবং গুমের কোনো খবরও তাদের কাছে আসেনি।

"এ দুটো ছাড়া আর কোনো ক্ষেত্রেই মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, বরং কিছু ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে। অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন উদ্বেগজনক পর্যায়ে আছে," বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তিনি।

এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছিল, ক্ষমতায় বসার এক বছরেও মানবাধিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

তাদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিলো, "এই সরকারের সময়ও অতীতের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না"।

তখন সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলো। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বিবিসি বাংলাকে তখন বলেছিলেন যে আইন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

"গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়ায় কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য আইনগত সংস্কারের প্রক্রিয়াও চলছে," বলেছিলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়