মো:আদনান হোসেন, ধামরাই ঢাকা থেকে: ঢাকার ধামরাইয়ে বাথুলী থেকে জালসা বৌ বাজার পর্যন্ত ২৭৭৫ মিটার প্রায় ৩কোটি টাকা বাজেটের রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের ইট,বালু ও খোয়া ব্যবহার হচ্ছে রাস্তা নির্মাণের কাজে। মানছে না কর্তৃপক্ষের নিষেধও। এমনই অভিযোগ স্থানীয় জনগণের।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হইতে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা বৌ বাজার পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং ও সিসি ঢালায়সহ প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় দুর্ভোগের শেষ ছিলো না এলাকাবাসীর। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে হাঁটু সমান পানি ও খানা খন্দে মানুষের চলাচল দূর্ভোগের শেষ ছিল না।
এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের এলজিইডি ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে ও অর্থায়নে রাস্তাটি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩কোটি টাকায় ব্যয়ে কাজটি পায় এ.আর. এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। শুরুতেই নিম্নমানের ইট ব্যবহারের শুরু করে। এমন অভিযোগে ৭আগষ্ট উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ এবং পঁচা ইট অপসারণের নির্দেশ (মৌখিক) ভাবে দেন।
স্থানীয় মোঃ ইউনুস নামে এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার ফাঁকে ফাঁকে পঁচা ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। এছাড়া ইটের খোয়া দেওয়ার কথা ৩ইঞ্চি।কিন্তু ঠিকাদার সেখানে দেড় থেকে দুই ইঞ্চি দিয়ে কাজ করছে। তারা আরো জানান, চুলার মাটি দিয়ে রাস্তা করছে। কদিন পরেই বৃষ্টিতে কাদা হয়ে যাবে। এছাড়া রাস্তা পাশ ধরে হয়েছে ১৬ইঞ্চি সেখানে দেখেন ঠিক নাই।
রাস্তার কাজ চলাকালীন সময়ে মিস্ত্রির কাছে জানাতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভালো ও মন্দ ইট মিলিয়েই কাজ হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা নাম্বার ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করছি। বৃষ্টিতে রাস্তার বালু ও ইটের খোয়াসহ ধসে গিয়ে গর্ত হয়েছে। যেখানে গর্ত হয়েছে সেখানে দুই তিন নাম্বার ইট দিয়ে গর্ত ভরা হইছে। আমি কোন দুই নাম্বার ইট ও বালু দিয়ে রাস্তার কাজ করছি না।
ধামরাই উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোঃ মিনারুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং নিম্নমানের ইট অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এরপরও যদি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তার নির্মাণকাজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়েছে সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে