ইমরুল শাহেদ: রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে, রাশিয়ার নৌবাহিনী জাপান সাগরে এই পরীক্ষা চালিয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘জাপান সাগরে প্যাসিফিক ফ্লিটের ক্ষেপনাস্ত্র জাহাজ থেকে শত্রু শনাক্তকরণ টার্গেটে মস্কিট ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। একশ’ কিলোমিটার দূরত্বে একটি টার্গেট স্থির করে সফলভাবে এই মস্কিট ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পি-২৭০ মস্কিট ক্ষেপনাস্ত্রকে ন্যাটো বলে থাকে এসএস-এন-২২ সানবার্ন ক্ষেপনাস্ত্র। এটা হলো মধ্য-পাল্লার সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র। এটি কেবল রাশিয়াই নির্মাণ করেছে। ন্যাটোর মতে ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে এই ক্ষেপনাস্ত্র একটি জাহাজকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে পারে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াসি বলেছেন, মস্কোর সামরিক অভিযানের ব্যাপারে জাপান সতর্ক রয়েছে। এই ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার কারণে কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে, সেহেতু দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনী বেশ সক্রিয় আছে। তার পাশেই রয়েছে জাপান।’
এর এক সপ্তাহ আগে রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণুবাহী দুটি যুদ্ধ বিমান জাপান সাগরের উপর দিয়ে সাত ঘন্টা ধরে উড়ে বেড়িয়েছে। মস্কো বলেছে, এটা ছিল তাদের পরিকল্পিত ফ্লাইট।
বেলারুশে রুশ কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে হায়াসী বলেন, রাশিয়ার এই উদ্যোগের নিন্দা জানাচ্ছে জাপান। নতুন করে উত্তেজনা বাড়ানোকে প্রশমিত করার জন্য রাশিয়া ও বেলারুশের এই উদ্যোগ থামানো উচিত বলে জাপান মনে করে।
আইএস/এএ