জাফর খান: সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার টুর্ক আইনটির দ্রুত সংশোধনের তাগিদ দিয়ে বলেন, এটির ফলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে কর্মীদের গ্রেপ্তার, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এসময় তিনি বলেন, তার দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি এ আইনের সংশোধনের দাবী জানাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারের কাছে। ইউএনএইচসি আর
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশনে বাংলাদেশসহ ৪০ টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন টুর্ক। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) তিনি দেশের এ আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে সঠিকভাবে মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী জানান।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতিতে বেশ হতাশ। আমরা বাংলাদেশের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। অধিকারহীনতার এসব সমস্যা বেশ কিছু দেশেই আমরা দেখে আসছি। নানা কঠিন বিষয় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা যে কোনো দেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকি। তাই মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সচেতন হতে হবে।
টুর্ক আরও বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা দেখেছি ইউক্রেন যুদ্ধ দেশটিকে একটি মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যে ক্ষতির মুখে দেশটি পড়েছে তা আগামী প্রজন্মকে ভোগাবে। খাদ্য ও জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের সকল দেশকেই এর পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে।
৭৫ বছর আগে ইউরোপ যুদ্ধের কারণে একই রকমের পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছিল বিশ্বকে বলেও উল্লেখ করেন সংস্থাটির প্রধান। এসময় তিনি আফগান নারীদের নানা ক্ষেত্রে অবদানের বিষয় উল্লেখ করে তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
টুর্ক বলেন, দেশটির নারীরা তাদের বাচার জন্য সংগ্রামের পাশাপাশি বাক স্বাধীনতার জন্যও সগ্রাম চালিয়ে আসছেন। তবে আমরা আফগান নারীদের অধিকার আদায়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি ও এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
টুর্ক জেনেভায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে ডিসিএ সংশোধন ইস্যুতে একটি সুপারিশমালার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তার বক্তব্যে।
জেকে/এএ
আপনার মতামত লিখুন :