জাফর খান: জাতিসংঘের জরুরী ত্রাণবিষয়ক কো-অর্ডিনেটর মার্টিন গ্রিফিথ সংস্থাটির মহাসচিবের পক্ষ হতে এ আহবান জানিয়েছেন। সোমবার রিয়াদ মানবিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ভয়াবহ দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলের মানুষগুলোর জন্য এই মানবিক সাহায্য অপরিহার্য হয়ে দাড়িয়েছে। আল-আরাবিয়া নিউজ
গ্রিফিথ বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ আর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারনে অন্তত আমরা এর অর্ধেক সাহায্য হলেও যোগানের আশা করি বিশ্বের সবার কাছে। সারা বিশ্বই এখন খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী অধিকার খর্বসহ অন্যান্য সঙ্কটে আমরা রয়েছি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বন্যা, বৈশ্বিক উষ্ণতা. খরা, শক্তিশালী ঝড়, ভূমিকম্প সারা বিশ্বের মানুষকে করছে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই তাদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য সারা বিশ্বের কাছে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি দৃশ্যমান সাহায্যের আবেদনও জানান তিনি। এসময় তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কোভিড-১৯ মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেককেই দীর্ঘসূত্রিতার এক সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একইসঙ্গে বিশ্বের চলমান যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ বাড়ানোরও তাগিদ দেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে ক্রমেই বিকল্প জ্বালানি শক্তি হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি নির্ভশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থের দরকার আর এর সঠিক প্রবাহও নিশ্চিত জউরী। তবে বিশ্বের যেসব ধনী দেশ জলবায়ু পরিবরতনের জন্য পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে দায়ী তাদের স্বল্প পরিমাণ অংশ গ্রহন বেশ উদ্বেগজনক। চলতি বছএর কপ ২৮ সম্মেলনে এ বিষয়টি নতুন করে ভাবা হবে বলেও তিনি আশা করেন।
সম্মেলনে গ্রিফিথ হৃদয় বিদারক এক পরিসংখ্যানে জানান, বিশ্বের ২২২ মিলিয়ন মানুষ জানে না তাদের পরের বেলার খাবারটি আদৌ পাবে কিনা। আর ৪৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশুরা দিন কাটাচ্ছে ক্ষুধার্ত অবস্থায়। এটি নিরসনে তিনি দাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনই সময় সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধির। আর মানবিক সহায়তা কখনও একার পক্ষে কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থার যোগান দেওয়া সম্ভব নয়।
সংস্থাটির যেন্ট্রাল ইমারজেন্সী রেসপন্স ফান্ড (সিইআরএফ) গত সপ্তাহের শেষ দিকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার প্যাকেজের এক মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এটি যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে গ্রিফিথ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার মধ্যদিয়ে বিশ্ব হানাহানির ইতি টেনে দূর্ভিক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর আহবান জানান। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনকেই জরুরীতম বিষয় হিসেবে দেখার অনুরোধ করেন গ্রিফিথ।
জেকেএইচ/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :