শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বললেন মার্কিন জেনারেল মিনিহ্যান

চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বাঁধবে ২০২৫ সালে

রাশিদুল ইসলাম: মার্কিন বিমান বাহিনীর চার তারকা বিশিষ্ট জেনারেল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ২০২৫ সালে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনের সাথে ওয়াশিংটনের যুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য তিনি বিমান বাহিনীর কমান্ডারদেরকে নিজ নিজ ইউনিট সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রস্তুত রাখার কথা বলেছেন। সিএনএন

মার্কিন বিমান বাহিনীর মোবিলিটি কমান্ডের চিফ জেনারেল মাইক মিনিহান বলেন, ‘আমার কথা ভুল প্রমাণিত হোক তবে আমি মনে করি ২০২৫ সালে যুদ্ধ হবে।’ জেনারেল মিনিহ্যান বলেন, প্রাথমিক লক্ষ্য হলো প্রতিরোধ করা, তবে প্রয়োজন হলে চীনকে পরাজিত করতে হবে। এ বিষয়ে তিনি একটি লিখিত নির্দেশনা সমস্ত এয়ার উইং কমান্ডারের কাছে পাঠিয়েছেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জেনারেল মিনিহানের এই লিখিত নির্দেশনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তবে তিনি বলেছেন, এটি চীন বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে না।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে যে অবস্থান নিয়েছেন সে সম্পর্কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপলব্ধি সঠিক বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ট্রাম্প মূলত এই আভাস দিয়েছেন যে, হোয়াইট হাউজ অল্প সময়ের মধ্যেই ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারত।

পেসকভের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প তার নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’দেয়া এক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে ইউক্রেনে যুদ্ধই হতো না।” ট্রাম্প আরো লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় যদি যুদ্ধ বেধেও যেত তাহলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে যুদ্ধ থামিয়ে দিতাম।”

ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পেসকভ বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাত্ত্বিকভাবে সঠিক কথাটিই বলেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, “বাস্তবিক অর্থেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইতেন তাহলে তিনি তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে পারতেন। তিনি কিয়েভ সরকারকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিলেই যুদ্ধ থেমে যেত।”

পেসকভ বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে হয়তো যুদ্ধ বন্ধ করা যেত না। কিন্তু অনেক দিক দিয়েই ইউক্রেন সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ওয়াশিংটনের হাতে রয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, ওয়াশিংটন কিয়েভকে যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত না করে উল্টো ইউক্রেনে অস্ত্রের চালান পাঠিয়ে যুদ্ধের আগুন আরো বেশি জ্বালিয়ে দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়