রাশিদুল ইসলাম: চকলেট ও মদ প্রায় প্রতিদিনই খেতে পছন্দ করতেন তিনি। অবসর নিয়েছিলেন ১৯৭৯ সালে। কোভিডে আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে ওঠেন সিস্টার আন্দ্রে। কিন্তু ১১৯তম জন্মদিনের মাত্র একমাস আগে তিনি মারা গেলেন। ডেইলি মেইল
সিস্টার আন্দ্রে হিসেবে পরিচিতি পেলেও তার নাম ছিল লুসিল র্যান্ডন। ১৯০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ শুরু হওয়ারও এক দশক আগে। খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি তার প্রবল অনুরাগ ছিল সুপরিচিত। মঙ্গলবার ভূমধ্যসাগরীয় শহর তৌলং নার্সিং হোমে ঘুমের মধ্যে মারা যান তিনি। এই ফরাসি সন্ন্যাসী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হওয়ার খেতাব ধারণ করেছিলেন। তিনি দেখেছেন একাধিক মহামারি, একাধিক বিশ্বযুদ্ধ।
শেষ দিনগুলিতে প্রায়ই নিজের প্রয়াত ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন লুসিল র্যান্ডন। তিনি নিজের মৃত্যুকে মুক্তি হিসেবে দেখতেন। এর আগে গত বছর ১১৯ বছর বয়সে জাপানের কানে তানাকার মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই জানা যায় লুসিল বিশ্বের সবথেকে বেশি বয়স্ক মানুষ। খ্রিষ্টান প্রটেস্টান্ট পরিবারে জন্মেছিলেন লুসিল। প্যারিসে গভর্নেস হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। তিনি নিজেই বলতেন সেই সময়টা ছিল জীবনের খুব খুশির সময়। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষা নেন। ৪০ বছরে গিয়ে তিনি একটি হাসপাতালে সেবামূলক কাজ শুরু করেন। ৩১ বছর তিনি সেখানে কাজ করেন। এরপর তিনি তৌলং চলে যান। অনেক চিঠি আসত তার কাছে। সব চিঠির উত্তর দিতেন তিনি। সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন তিনি।
গত বছর সিস্টার আন্দ্রে বলেছিলেন, অনেকে বলেন কাজ করে করে মরে গেলাম। কিন্তু আমি বলি কাজই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ১০৮ বছর পর্যন্ত আমি কাজ করেছি। হয়তো এই কাজই ছিল তার জীবনিশক্তির রহস্য।