ইমরুল শাহেদ: হত্যা চেষ্টার পর লংমার্চে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলেও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আশা করছেন রাওয়ালপিন্ডির লংমার্চে অংশ নেওয়ার। তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থকদের নিয়ে বড় ধরনের একটি জনসভা করার পরিকল্পনা করেছে এবং ‘হাকিকি আজাদী ম্যুভমেন্টে’ একটা ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন ইমরান খান। ইয়ন
তার দল জনসভা করার কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়েছে। তবে জনসভার স্থান ফৈজাবাদ থেকে মুরি রোডের রেহমানাবাদে পরিবর্তন করা হয়েছে। জানা গেছে, ইমরান খান লাহোর হয়ে হেলিকপ্টারে রাওয়ালপিন্ডি পৌঁছুবেন। আহত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি জনসভায় অংশগ্রহণ করছেন।
শুক্রবার ইমরান খান এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি জাতির স্বার্থে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রয়োজনে আমি রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছি। কায়েদ-ই-আজম এবং আল্লামা ইকবাল যে ধরনের দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমি সেভাবে দেশকে গড়ে তুলতে চাই।’
অন্যদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ পিটিআই প্রধানকে লংমার্চ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। গোয়েন্দারা তার উপর সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে মর্মে রেড এলার্ট জারি করেছে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা সংস্থাগুলো শহরে রেড এলার্ট জারি করেছে।’ স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘পিটিআই কর্মীদের আমি বলেছি, এই লংমার্চে অংশগ্রহণ না করতে।’
একইভাবে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক বলেছেন, পিটিআই প্রধান আবারও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে পারেন। তিনি আরো বলেছেন, বর্ধমান হুমকির বিষয়ে প্রশাসনের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া এবং এ ব্যাপারে তদন্ত পরিচালনা করা উচিত।
আইএস/এনএইচ