রাশিদুল ইসলাম: বুধবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, রাশিয়া নির্লজ্জভাবে জাতিসংঘের মূল নীতিগুলো লঙ্ঘন করেছে। প্রতিবেশী দেশের ভূখণ্ড বলপ্রয়োগ করে দখল নেয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞার চেয়ে কোনোকিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভয়েস অব আমেরিকা
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক ভাবে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়তা, মানবিক সাহায্য এবং প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এই অবধি আড়াই হাজার কোটি ডলার সাহায্য দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী আমাদের মিত্র ও শরিকরাও এগিয়ে এসেছে।
শুক্রবার জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, নেতারা ইউক্রেনকে উপেক্ষা করবেন না, তবে সমাবেশে এ বিষয়ের প্রাধান্য থাকবে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ওই অঞ্চল থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে মহামারী পরবর্তী সময়ে খাদ্যের মূল্য আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অনুসারে প্রায় ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অর্থনীতিবিদ রব ভোস বলেন, বিশ্ব এখন ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত হওয়ার জাতিসংঘের যে লক্ষ্য তা অর্জনের পথে নেই। টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র “নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ বৃদ্ধির জন্য বিচক্ষণ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রস্তাবের ভিত্তিতে ঐকমত্য গড়ে তোলাসহ” নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে চাইবে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারের সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিতর্কের একটি মূল বিষয় হলো নতুন স্থায়ী সদস্যের পদ তৈরি করা উচিত কিনা এবং তাদের ভেটো ক্ষমতা থাকা উচিত কিনা। ভেটো অধিকার ব্যতীত স্থায়ী সদস্যদের একটি নতুন শ্রেণী তৈরি করার প্রস্তাবগুলো আলোচনার অধীনে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :