শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৩ বিকাল
আপডেট : ০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুদানের এল-ফাশারে জাতিগত গণহত্যার আশঙ্কা, সহিংসতা ও দুর্ভিক্ষে পালাচ্ছে হাজারো মানুষ

সংঘাতে বিধ্বস্ত আফ্রিকার দেশ সুদানের এল-ফাশার শহরে মানুষের জন্য ভয়াবহ প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চিকিৎসাবিষয়ক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)। এল-ফাশার শহরের নিয়ন্ত্রণ দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) দখলে যাওয়ার পর সেখানে ব্যাপক অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শনিবার এমএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৮ মাসের অবরুদ্ধ দশার পর গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশার শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরএসএফ। এরপর থেকে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা চালিয়েছে ওই বাহিনী। হত্যা, নিপীড়ন ও তীব্র খাদ্য সঙ্কট থেকে বাঁচতে শহরটির হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

বিবৃতিতে এমএসএফ বলেছে, ‌‌‘‘এই সপ্তাহে এল-ফাশার ও আশপাশের এলাকায় নির্বিচারে জাতিগত ভয়াবহ গণহত্যা ও নৃশংসতা চালিয়েছে আরএসএফ।’’ সংগঠনটি বলেছে, অনেক মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ও তাদের সহযোগীরা লোকজনকে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।

এমএসএফের জরুরি বিভাগের প্রধান মিশেল অলিভিয়ে লাশারিতে বলেন, এল-ফাশারের পার্শ্ববর্তী নিরাপদ শহরে তাওইলায় পৌঁছানো মানুষের সংখ্যা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। সেখানে গণহত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে। যারা এল-ফাশারে মাসের পর মাস দুর্ভিক্ষ ও সহিংসতার মাঝেও বেঁচে ছিলেন; তারা কোথায়?

তিনি বলেন, এল-ফাশারের বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা করা হয়েছে অথবা তাদের আটকে রেখেছে আরএসএফ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা এল-ফাশারে জাতিগত নিধনের ঘটনা ঘটছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

তারা বলেছে, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে দারফুরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি ঘটছে এল-ফাশারে। সেই সময়ের আরব জানজাউইদ মিলিশিয়া থেকেই গঠিত হয়েছিল বর্তমান আরএসএফ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এমএসএফ বলেছে, গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশারের প্রায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিক, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং সরকার-সমর্থিত যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই আরএসএফ ও তাদের মিত্রদের হাতে হত্যার শিকার অথবা আটক হয়েছেন।

সেখান থেকে বেঁচে ফেরা বাসিন্দারা বলেছেন, পালানোর সময় মানুষকে লিঙ্গ, বয়স ও জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে আলাদা করা হয়। অনেকে এখনো মুক্তিপণের জন্য আটক রয়েছেন। আরএসএফের নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘যোদ্ধারা বন্দীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন; এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্যও আমি দেখেছি।’’

জাতিসংঘ তথ্য অনুযায়ী, সুদানে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার নিহত ও লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে সুদানের এই সংঘাত।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ দাগলোর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে এই যুদ্ধ চলছে।

সূত্র: এএফপি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়