পার্সটুডে- ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী গাজা শহরের আবাসিক টাওয়ারগুলো লক্ষ্য করে পুরো এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং লক্ষ লক্ষ অসহায় নাগরিককে বাস্তুচ্যুত করেছে। এই ঘটনায় গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যে গণহত্যামূলক অপরাধ চালাচ্ছে তারই ইঙ্গিত বহন করছে।
রাজনৈতিক লেখক এবং বিশ্লেষক ইয়াদ জুদেহের একটি নিবন্ধের উল্লেখ করে ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্র লিখেছে: ভার্টিক্যাল আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত যেসব টাওয়ারে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবারের আবাসস্থল ছিল সেগুলো আর নেই। পার্সটুডে আরও জানায়, এখন পর্যন্ত প্রায় ১,৬০০ আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। এই দৃশ্যটি ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের "পোড়া মাটি" নীতির চিত্রই তুলে ধরে।
এই অপরাধ কেবল টাওয়ারগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়; ১৩,হাজারেরও বেশি তাঁবু যেগুলো প্রাক্তন শরণার্থীদের জন্য একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল সেগুলোও ধ্বংস করা হয়েছে এবং মানুষের জীবন স্থানচ্যুতির একটি অন্তহীন প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য আশ্রয় বা জীবন গঠনকারী সবকিছুর বিরুদ্ধেই ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহজনক নীরবতার সুযোগে তারা তাদের অপরাধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এই অপরাধের প্রত্যক্ষ পরিণতি হল হাজার হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন, এখন গৃহহীন, উদ্বাস্তু। খাদ্য ও ওষুধের অভাবে তারা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন।
লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়াদ জুদেহ জোর দিয়ে বলেন যে টাওয়ারগুলো ভেঙে ফেলার লক্ষ্য কেবল ভবন ধ্বংস করা নয়, বরং বেসামরিক নাগরিকদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্য এসব হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: আন্তর্জাতিক আইনজীবীরা এই পদক্ষেপগুলিকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকি হিসাবে মূল্যায়ন করেছেন, কারণ জেনেভা কনভেনশনের অধীনে বেসামরিক আবাসনকে লক্ষ্যবস্তু করা নিষিদ্ধ।