শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৬ রাত
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র!

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চারটি সংগঠনকে বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র। সংগঠনগুলো আগে থেকেই ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ছিল যে তারা মার্কিন দূতাবাস ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এবার সেসব প্রমাণ ও অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় যুক্ত করা হলো।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, চারটি সংগঠন হলো- হারাকাত আল-নুজাবা, কাতায়েব সাইয়্যিদ আল-শুহাদা, হারাকাত আনসার আল্লাহ আল-আউফিয়া ও কাতায়েব আল-ইমাম আলি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চার গোষ্ঠী আগেও ‘বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল। এর মধ্যে কাতায়েব সাইয়্যিদ আল-শুহাদা ২০২৩ সালেও একই তালিকায় ছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, ইরান-সমর্থিত এই মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তারা একাধিকবার বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে এবং মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ও জোট বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ততা গোপন করার জন্য এই গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই ভুয়া নাম ব্যবহার করে অথবা প্রক্সি বাহিনী গঠন করে হামলা চালায়। এভাবে তারা আঞ্চলিক অস্থিরতাকে আরও জটিল করে তুলছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে হুমকির মুখে ফেলছে।

আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের চলমান টানাপোড়েনকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে ওয়াশিংটনের মতে, মার্কিন নাগরিক ও স্বার্থ রক্ষায় এটি ছিল অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়