শিরোনাম
◈ নতুন বন্দোবস্তে সবকিছু কি ওলটপালট হয়ে গেল? ◈ আগামীকাল শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা ◈ ঢাকায় ছাত্রদল ও এনসিপির মহাসমাবেশ কাল: শাহবাগ ও শহীদ মিনারে পাল্টাপাল্টি জমায়েত, উত্তেজনা রাজনৈতিক অঙ্গনে ◈ গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট ◈ যে কারণে নিজেদের সব কূটনীতিককে আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ! ◈ তিন দি‌নের সফ‌রে ভারতে আস‌ছেন মে‌সি, খেল‌তে পা‌রেন কোহলি-ধোনির সঙ্গে ক্রিকেট ◈ এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ আবার অনিশ্চিত! পি‌সি‌বি‌কে ৩৭০ কো‌টি টাকার ভয় দেখা‌চ্ছে সম্প্রচারকারী সংস্থা ◈ বাই‌ডেন ও ট্রা‌ম্পের কথাবার্তায় ম‌নে হয় তারা ডিমেনশিয়া রো‌গে আক্রান্ত ◈ সব‌চে‌য়ে কম বয়‌সে পদক জি‌তে রেকর্ড গড়‌লেন চী‌নের সাঁতারু ◈ অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মে‌য়ে‌দের ইভেন্টের জন্য জিন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৩৩ রাত
আপডেট : ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর!

আগামী ডিসেম্বরে পরিকল্পিত জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নিজেই।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীকে যে ফরমানের (ডিক্রির) মাধ্যমে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে একটি তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন তত্ত্বাবধানের জন্য একটি বিশেষ কমিশনও গঠন করা হয়েছে।

অবশ্য এ পদক্ষেপে মিয়ানমারের বাস্তব পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সিএনএন। কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভ্যুত্থানের নেতা মিন অং হ্লাইং এখনো কার্যত রাষ্ট্রপতি ও সামরিক প্রধান হিসেবে সব ক্ষমতার দখলেই রয়েছেন।

সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন জানান, অভ্যুত্থানের পর দেশে যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, গতকাল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারির পর তা সাত দফা নবায়ন করার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার তা বাতিল করা হয়।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমকে এই মুখপাত্র বলেন, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান বলেছেন, আগামী ছয় মাস নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির সময়।

২০২১ সালে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাতের পর থেকেই চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ওই সময় থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে চলছে গৃহযুদ্ধ। এই বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনী ৬ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষকে যথেচ্ছভাবে আটক করেছে। এ ছাড়া, দেশজুড়ে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৩৫ লাখ ছাড়িয়েছে, যদিও জান্তা সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই নির্বাচনকে পশ্চিমা দেশগুলো একপ্রকার প্রহসন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জেনারেলরা কেবল নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছেন।

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট দলগুলোই প্রভাব বিস্তার করবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, বিরোধী দলগুলোকে হয় নির্বাচনে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নয়তো তারা নিজেরাই অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

মিয়ানমার-বিষয়ক স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন বলেন, ক্ষমতায় যে রদবদল করা হয়েছে, তা লোক দেখানো। যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা আগের মতোই অত্যাচারী ও দমনমূলক আচরণ চালিয়ে যাবেন। তারা কেবল পুরোনো মোড়কে নতুন নাম দিচ্ছেন। এটি এমন এক নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ, যেটি সম্পর্কে আমরা খুব একটা জানি না।

এদিকে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআর টিভিতে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মিন অং হ্লাইং।

অন্যদিকে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে চীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়