লিবিয়া থেকে হাজার হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের বিষয়টি ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) আলোচনায় বসেন তুরস্ক, ইতালি ও লিবিয়ার নেতারা। খবর রয়টার্স
এই বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ আল দেবেইবাহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তারা অভিবাসন সমস্যা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এরদোগান বলেন, ভূমধ্যসাগরে অনিয়মিতভাবে অভিবাসন সমস্যা যেভাবে বাড়ছে এতে করে এ সংকট সমাধানে তিন দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়াতে হবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, অভিবাসন সমস্যা সমাধানে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এজন্য আমাদের একাধিক সমন্বয়ক দরকার।
প্রধান জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল দীর্ঘ সময় ধরে সংঘাতের মধ্যে রয়েছে। এসব অঞ্চল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে উত্তর আফ্রিকার ইউরোপে যাওয়ার ঢল নেমেছে।
ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক ত্রিপলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সরকারকে রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ২০২০ সালে তুরস্ক দেশটির সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী পাঠায়। পরবর্তীতে দেশটির সঙ্গে একটি সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ চুক্তিতে পৌঁছায়। যার বিরোধিতা করে মিশর ও গ্রিস। এরপর ২০২২ সালে আঙ্কারা ও ত্রিপোলি জ্বালানি অনুসন্ধান সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। তারও বিরোধিতা করেছে মিশর ও গ্রিস।
অন্যদিকে ন্যাটো মিত্র তুরস্ক ও ইতালির মধ্যে রয়েছে দৃঢ় সম্পর্ক এবং তারা প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও পারস্পরিক বাণিজ্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইতালির লিওনার্দো এবং তুরস্কের বায়কার চলতি বছরের মার্চে ঘোষণা দেয় যে, তারা মানববিহীন ড্রোন উৎপাদনের জন্য একটি যৌথ উদ্যোগ চালু করছে। এ ছাড়া ইতালি থেকে তুরস্ক ৪০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।