শিরোনাম
◈ হত্যার অস্ত্র এক পার্ক করা গাড়ি: যেভাবে হত্যা করল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধানকে ◈ চার লাখ কোটির খেলাপি: ১০ ব্যাংকেই আটকে তিন লাখ কোটি ◈ ১১ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি ৩৬.৫৬ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ১০.২০% ◈ ইরানের দিকে যাচ্ছে মার্কিন রণতরী ◈ জামায়াতের অবস্থানে হঠাৎ পরিবর্তন কেন? ◈ মেয়রের শপথ: ইশরাক-আসিফ বাকযুদ্ধ, এর সমাধান কি? ◈ 'আমি করতেও পারি, নাও পারি', ইরানে হামলায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ইসরাইল লক্ষ্য করে এবার হাইপারসনিক ছুড়েছে ইরান ◈ লন্ডন বৈঠকের পর বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে ফাটল: হতাশা, বিরক্তি ও রাজনীতির নতুন সমীকরণ ◈ পরিবেশের ক্ষতি করে কোনো উন্নয়ন নয়: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২৫, ০১:০৫ দুপুর
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাইক রাইড নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা: নারীকে ‘দেশে ফিরে যেতে’ বলার পর চালকের মারধর, ভাইরাল ভিডিও

দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু শহরে বাইক শেয়ারিং অ্যাপে কল দিয়েছিলেন এক নারী। নির্ধারিত স্থান থেকে তাঁকে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন মোটরসাইকেলচালক।

হঠাৎ ওই নারী অনেকটা জোর করেই মোটরসাইকেল থামিয়ে দেন। ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং হেলমেট ফেরত দিতে চান।

এতে খেপে ওঠেন চালক। শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা। চালকের সঙ্গে ওই নারী তর্ক করছিলেন ইংরেজি ভাষায়। অন্যদিকে চালক সমানে কন্নড় ভাষায় তাঁর সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি করে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি ওই নারীকে তাঁর ‘দেশে’ ফিরে যেতে বলেন।

নারীর অভিযোগ, চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, ট্রাফিক আইন মানছিলেন না। অন্যদিকে চালকের অভিযোগ, ওই নারী তাঁকে রাস্তার মাঝখানেই গাড়ি থামাতে বলছিলেন, যা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

পরিস্থিতি একপর্যায়ে তর্কাতর্কি থেকে মারামারিতে রূপ নেয়, যা ধারণ করা হয় ভিডিওতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।

ভিডিওতে দেখা যায়, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে চালককে আঘাত করে বসেছেন ওই নারী। জবাবে তাঁকে চড় মেরে মাটিতে ফেলে দেন চালক।

সে সময় আশপাশের কাউকে ওই চালককে থামাতে দেখা যায়নি। চালককে পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ওই নারী জুয়েলারির দোকানে কাজ করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। চালকের নাম সুমন এস বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

সুমন বলেন, ‘তিনি আমাকে রাস্তার মাঝখানেই থামতে বলছিলেন। আমি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম, এভাবে থামলে যে কেউ পেছন থেকে আমার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেবে।’

তিনি বলেন, ‘ওই নারী আমাকে গালাগালি করে আমাকে জামার কলার ধরে টানেন। তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি পড়াশোনা করেছি কি না, জানতে চান।

‘একপর্যায়ে তিনি আমাকে তাঁর টিফিন বক্স দিয়ে আঘাত করেন। একবার নয়, দুবার। তখনই আমি তাঁকে আঘাত করি।’

ওই নারী পরে এনডিটিভিকে ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘মোটরসাইকেলের চালক ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করছিলেন। তাঁর আমাকে আঘাত করা উচিত হয়নি। আমি তাঁকে ভাড়া দিয়েছি। হেলমেটও দিয়েছি।’

ওই নারী নিশ্চিত করেন, তর্কাতর্কির সময় তাঁকে তাঁর ‘দেশে’ ফিরে যেতে বলেছিলেন বাইকচালক।

এ বিষয়ে ওই নারীর ভাষ্য, ‘ভাষা নিয়ে কর্ণাটকের মানুষের নাক বরাবরই উঁচু। তাঁরা চান, যাঁরা তাঁদের রাজ্যে আসবেন, তাঁদের অবশ্যই কন্নড় ভাষা শিখতে হবে। নয়তো রাজ্য ছেড়ে চলে যাও।

‘সেই জায়গা থেকেই ওই চালক আমাকে তাঁর রাজ্য থেকে বের হয়ে যাও বলতে গিয়ে আমাকে আমার দেশে ফিরে যেতে বলেছেন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়