ভারতের আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর যেকোনো ভ্রমণে ১১ এ আসনের চাহিদা আকাশছোঁয়া হয়ে উঠতে পারে। কারণ, উড়োজাহাজটির ২৩০ জন যাত্রীর মধ্যে একমাত্র এই আসনে থাকা যাত্রীই জীবিত আছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য টেলিগ্রাফ।
এ ঘটনা অতীতে থাইল্যান্ডের এক গায়ক ও অভিনেতার কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৯৮ সালের ১১ ডিসেম্বর বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন রুয়াংসাক লয়চুসাক। থাই এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ টিজি ২৬১ দক্ষিণ থাইল্যান্ডে অবতরণের চেষ্টা করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় ১০১ জন মারা যান। ১৪৬ জন যাত্রীর অন্যতম ছিলেন সেই সময় ২০ বছর বয়সী লয়চুসাক।
তিনি বিমানে ১১ এ আসনে বসেছিলেন। ২৭ বছর পর এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ এআই ১৭১ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু মেম্বারের মধ্যে একমাত্র বিশ্বাস কুমার বেঁচে গেছেন। ঘটনাচক্রে রমেশও বিমানে ১১ এ আসনেই বসেছিলেন। এত বছর পর এই ঘটনা কি নেহাতই কাকতালীয় কোনো ঘটনা? নাকি ১১ এ আসনের কোনো রহস্য আছে? দেশ-বিদেশে এখন এই আলোচনা চলছে।
বিমানে ১১ এ আসনের পাশেই জরুরি প্রস্থানের দরজা আছে। এই কারণেই বেঁচে গিয়েছেন রমেশ। তিনি বিমান থেকে বেরিয়ে যেতে পেরেছিলেন। চোট পেলেও, প্রাণরক্ষা হয়েছে। এই কারণে এখন অনেকেই উড়োজাহাজে ১১ এ আসনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন।
এদিকে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লয়চুসাক লিখেছেন, ‘ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় একজন বেঁচে গিয়েছেন। তার ও আমার একই আসন ছিল। ১১ এ।’ এই গায়ক ও অভিনেতা জানান, তার কাছে ১৯৯৮ সালে সেই বিমানযাত্রার বোর্ডিং পাস নেই।
তিনি সেই দুর্ঘটনার পর প্রায় এক দশক বিমানে যাত্রা করতে পারেননি। তার মনে আতঙ্ক ছিল। নিজে বেঁচে গেলেও, সহযাত্রীদের মৃত্যুতে দুঃখিত ছিলেন। সহযাত্রীরা প্রাণ হারানোয় এবং তিনি রক্ষা পাওয়ায় অনুশোচনা হতো। নিজেকে অপরাধী বলে মনে করতেন। এত বছর পর রমেশের ঘটনায় লয়চুসাকের পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে।