শিরোনাম
◈ নির্বাচন নিয়ে চাপের মুখে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের হুমকি: নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ যমুনায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন ◈ আন্দোলনের পর সেনানিবাসে আশ্রয়: ২৪ রাজনীতিবিদ কে কোথায় ◈ বৃক্ষমেলায় হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্কে এলাকাবাসী ◈ আজ পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি ও জামায়াত ◈ ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত ◈ ​বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: প্রয়োজন বাণিজ্য কূটনীতি ◈ বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ ভবনে ল্যাবে জনবল শুণ্য, পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধে ঝুকিতে কৃষিক্ষাত! ◈ জাতিসংঘের সতর্কবার্তা: বড় ধাক্কার মুখে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো ◈ আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৫, ০১:০২ রাত
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইতালির নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন: রক্তসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়মে কড়াকড়ি

নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন এনেছে ইতালি। এর মাধ্যমে ইতালীয় বংশোদ্ভূতদের নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম আরও কঠোর করা হয়েছে।

বুধবার রাতে বিবিসি জানিয়েছে, অতীতে ‘জুস সাংগুইনিস’ বা রক্তসূত্র নীতির অধীনে খুব সহজেই নাগরিকত্ব প্রদান করা হতো। এর মাধ্যমে মূলত ১৮৬১ সালের ১৭ মার্চের পরে বেঁচে থাকা কোনো ইতালীয় পূর্বপুরুষের উত্তরসূরি হলেই যে কেউ ইতালির নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হতেন। কারণ ওই তারিখেই ইতালির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

তবে ২০ মে দেশটির সংসদে পাস হওয়া সংশোধিত আইনের অধীনে এখন থেকে নাগরিকত্ব পেতে হলে আবেদনকারীর বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদির মধ্যে অন্তত একজনকে জন্মসূত্রে ইতালির নাগরিক হতে হবে।

দেশটির সরকার জানিয়েছে—এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো বিদেশে বসবাসকারী ইতালীয়দের সঙ্গে দেশের প্রকৃত সংযোগকে শক্তিশালী করা, পাসপোর্ট ব্যবস্থার অপব্যবহার ও বাণিজ্যিকীকরণ রোধ করা এবং নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জমে থাকা হাজার হাজার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা।


সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালের শেষ থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত বিদেশে বসবাসকারী ইতালীয় নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে দেশটির ৬৪ লাখ নাগরিক বিদেশে অবস্থান করছে।

চলতি বছরের মার্চের শেষে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার যখন নতুন আইনটি প্রস্তাব করে, তখন নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য ৬০ হাজারের বেশি আবেদনের আইনি প্রক্রিয়া বিচারাধীন ছিল।

তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছিল—এই পরিবর্তনের ফলে জনবলকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করে কনস্যুলার সেবা দেওয়া সম্ভব হবে শুধুমাত্র তাদের জন্য, যাদের সঙ্গে ইতালির বাস্তব ও দৃঢ় সংযোগ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি বলেছিলেন, ‘রক্তসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার মূলনীতি বিলুপ্ত হচ্ছে না, তবে নির্দিষ্ট সীমা আরোপ করা হবে যেন অপব্যবহার বা পাসপোর্টের বাণিজ্যিকীকরণ না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটা ভারী বিষয় হওয়া উচিত।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়