শিরোনাম
◈ বিদেশে জব্দকৃত সম্পদ ফেরাতে আইনগত সিদ্ধান্তের পথে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ◈ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে ইরানকে নতুন প্রস্তাব পশ্চিমা তিন দেশের ◈ নতুন করে বাড়ছে করোনা-আতঙ্ক: বিশেষ ঝুঁকিতে জটিল রোগে আক্রান্তরা ◈ নির্বাচনের সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ইঙ্গিত লেখা ছিল কুরআনে (ভিডিও) ◈ মাছ কেটে প্রতি মাসে অর্ধ কোটি টাকা উপার্জন করেন কুমিল্লা নগরীর শতাধিক মাছকাটা শ্রমিক! ◈ ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর রাজনীতিতে স্বস্তির ইঙ্গিত: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ◈ নজিরবিহীন সতর্কতা জারি: ইরানি নাগরিকদের যা বলছে ইসরায়েল ◈ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে: সিইসি ◈ যে ইরানি ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছেন!

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২৫, ০৬:৩৯ বিকাল
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুই সাপের মত দেখতে “ধপ” সৌদি আরবের প্রিয় খাবার (ভিডিও)

সৌদি আরব প্রতিনিধিঃ দেখতে ভয়ঙ্কর ও অদ্ভুত হলেও ‘ধপ’ নামের একটি সরীসৃপ প্রাণী সৌদি আরবের জনগণের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। শতভাগ গুইশাপের মতো দেখালেও, এটি মূলত ‘স্পাইনি টেইলড লিজার্ড’ বা ‘ধপ’ নামে পরিচিত এবং প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো গুইসাপ নয়। মরুভূমিতে বসবাসকারী এই প্রাণীটি বহু আগেই সৌদির ঐতিহ্যবাহী খাদ্য তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

সৌদি আরবে ধপ শিকার একটি পুরোনো রীতি ও সামাজিক ঐতিহ্যের অংশ। মরুভূমির তরুণরা দলবদ্ধভাবে বেরিয়ে পড়েন এই বিশেষ লিজার্ড শিকারে। কেউ কেউ গর্তে পানি ঢেলে, কেউ ধোঁয়া ব্যবহার করে কিংবা সরাসরি ধাওয়া করে ধপ ধরে থাকেন। এই শিকার শুধুমাত্র খাদ্য সংগ্রহের জন্য নয়, বরং এক ধরনের আনন্দ, চ্যালেঞ্জ ও মরুভূমির প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই বিবেচিত হয়।

তবে সময়ের সাথে সাথে পরিবেশগত পরিবর্তন ও অতিরিক্ত শিকারের কারণে ধপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এই কারণে বর্তমানে সৌদি সরকার সীমিত আকারে নিয়ন্ত্রিত শিকারের অনুমতি দিয়ে থাকে।

খাবার হিসেবে ধপের মাংস গ্রিল, ভুনা কিংবা ঐতিহ্যবাহী কাপসা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মরুভূমির যাযাবর সম্প্রদায়ের কাছে এটি যুগ যুগ ধরে শক্তি বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ধপের মাংস সাধারণত খানিকটা মুরগির মতো হলেও এতে থাকে এক ধরনের মরুভূমির নিজস্ব গন্ধ ও স্বাদ।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও ধপ নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। একাধিক হাদিসে পাওয়া যায়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজে ধপের মাংস ভক্ষণ করতেন না, তবে তিনি একে হারামও ঘোষণা করেননি। ফলে মুসলিমদের মধ্যে কেউ এটি খান, আবার কেউ তা পরিহার করেন।

সব মিলিয়ে, সময় বদলালেও সৌদি আরবে ধপ আজও একটি ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়