শিরোনাম
◈ জাতীয় নির্বাচন: দলগুলোর নানা মত, ইসির ডিসেম্বরের প্রস্তুতি ◈ তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট: প্রশংসনীয় এই মানসিকতা অব্যাহত থাকুক  ◈ শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম, খুন, অর্থপাচার: আল জাজিরার তথ্যচিত্রে বিস্ফোরক তথ্য ◈ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড ◈ এবার রিপাবলিক বাংলা বন্ধ ও ময়ূখকে গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে বি'ক্ষো'ভ (ভিডিও) ◈ দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিয়ে যুদ্ধের নাটক করছে বিজেপি: কীর্তি আজাদ ◈ ডেটিং নিয়ে দ্বন্দ্ব: তিন কলেজেই মেয়েরা ডেট করে, তাই হয় মারামারি', বললেন সিটি কলেজের ছাত্রীরা ◈ দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে একাট্টা হচ্ছে দলগুলো ◈ কাতারের আমীরের দেয়া বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৫, ০৫:৪৬ বিকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা : মানবজাতির বিলুপ্তি এড়াতে বাড়াতে হবে জন্মহার

পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীকে বেঁচে থাকতে হলে নিজেদের জন্মহারকে বৃদ্ধি করতে হয়। সেদিক থেকে দেখতে হলে এবার অবাক করা তথ্য এল গবেষকদের হাতে। বিশ্বে বর্তমানে কমছে মানুষের জন্মহার। একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে যে, বিশ্বের অনেক অংশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলিতে, প্রতি নারী পিছু  ২.১ উর্বরতার  (Replacement level fertility বা RLF) হার মানব বিলুপ্তি রোধ করার জন্য যথেষ্ট নয়। পরিবর্তে, গবেষণাপত্র অনুসারে, এই অঞ্চলগুলোতে প্রতি নারীর জন্য উর্বরতার হার কমপক্ষে ২.৭  হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন যে ১৯৬০-এর দশকে বিশ্ব তার সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার অনুভব করেছিল ।  ২০৩০ সালে এটি ৮.৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষকরা  মানুষের জনসংখ্যার বহন ক্ষমতা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধের উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।  দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা এমন অঞ্চলে বাস করে যেখানে মোট উর্বরতা হার প্রতিস্থাপন স্তরের উর্বরতার (RLF) নীচে। 

বিশেষজ্ঞরা গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে পরীক্ষা করেছেন যে প্রতি নারীর ২.১ শিশুর জন্মদানের  জনসংখ্যাগত পরিবর্তনশীলতা বহু প্রজন্ম ধরে জনসংখ্যা টিকিয়ে  থাকার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে।তারা দেখেছেন যে, মানবজাতির চূড়ান্ত বিলুপ্তি এড়াতে প্রতি নারীর কমপক্ষে ২.৭ সন্তানের উর্বরতা হার প্রয়োজন - বিশেষ করে ছোট মাপের জনসংখ্যার ক্ষেত্রে।  গবেষণাপত্র অনুসারে, এটা মনে রাখা উচিত যে উন্নত দেশগুলোতে  ইতিমধ্যেই এই শর্ত পূরণ করা হয়েছে। এই দেশগুলোতে জনসংখ্যার বিশাল আকারের কারণে বিলুপ্তি তাৎক্ষণিক সমস্যা নয়। তবে, বর্তমান ফলাফলগুলো  ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে গভীরভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।  

প্রায় সকল ব্যক্তির পারিবারিক বংশধারা বিলুপ্ত হওয়ার পথে, যেখানে খুব কম ব্যতিক্রমই বহু প্রজন্ম ধরে টিকে থাকতে পারে। ভাষাগুলোও  বিলুপ্তির ঝুঁকির মুখোমুখি। বিশ্বের ৬,৭০০ টিরও বেশি কথ্য ভাষার মধ্যে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হওয়ার হুমকির মুখে  রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "একটি ভাষার বিলুপ্তির ফলে একটি সংস্কৃতি, শিল্প, সঙ্গীত এবং মৌখিক ঐতিহ্যের বিলুপ্তি ঘটে।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি, সেখানে জনসংখ্যা বিলুপ্তির ঝুঁকি কম, যা সময়ের সাথে সাথে আরও বংশধরদের টিকে থাকতে সাহায্য করে।গবেষকদের মতে, তাই প্রচলিত উর্বরতা লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। গবেষণাটি PLOS One জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র: ডাউন টু আর্থ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়