শিরোনাম
◈ জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ ◈ বিল পরিশোধ, দীর্ঘদিন পর দায় মুক্ত পেট্রোবাংলা! ◈ নসরুল হামিদের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জব্দের আদেশ ◈ ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- বক্তব্যটি হাসিনার: প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে হামলা গ্রেপ্তার ৫ ◈ জামিন স্থগিত সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ◈ চট্টগ্রা‌মে মিরাজ তাণ্ডব, জিম্বাবু‌য়ের বিরু‌দ্ধে দ্বিতীয় টে‌স্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ ◈ উত্তরায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় প্রাইভেট কারসহ দুই অপহরণকারী গ্রেফতার ◈ সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল ঈদুল আজহার ◈ নির্বাচনী কোন ধরনের ঐক্য বা জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১২ দুপুর
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তিনি প্রতিরোধের ওপর আক্রমণ করেন আর দখলদারদের মোকাবেলায় কুর্নিশ!

পার্সটুডে-ফিলিস্তিন কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সভায় নেতারা স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধানের বক্তব্যকে তাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন। একইভাবে তার বক্তব্য অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন।

বুধবার, ফিলিস্তিন কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সভায়, গতকাল স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অব্যাহত হামলার জন্য ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে দায়ী করে বক্তব্য রেখেছেন। আব্বাস হামাস আন্দোলনের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ইহুদি বন্দীদের হস্তান্তর করে, গাজা উপত্যকার ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ শেষ করে, তাদের অস্ত্র ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে এবং একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। মাহমুদ আব্বাসের বক্তব্য ফিলিস্তিনিদের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে যখন গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনারা ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করছে এবং যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য তাইসিরুল-আলি কুদস টিভির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন:

মাহমুদ আব্বাসের কথা জাতীয় ঐক্য তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন: কেউ তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না যাদের বিরুদ্ধে অজাতীয়তার অভিযোগ রয়েছে এবং ফিলিস্তিনি জাতির ক্ষতির কারণ হিসেবে যারা বিবেচিত হয়। এই ক্ষতির কারণ দখলদাররা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্যালেস্টাইন পিপলস কংগ্রেস অ্যাব্রোডের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মাজিদ আল-জাইরও বলেছেন: বর্তমান পরিস্থিতিতে, ফিলিস্তিনি জাতির দখলদারিত্ব সিরসনের জন্য ঐক্য এবং আন্দোলনের প্রয়োজন। যে কোনও আওয়াজ যা বিচ্ছিন্নতাকে উস্কে দেয় তা দখলদারদের স্বার্থকেই রক্ষা করে। এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।

আল-জাইর আরও বলেন: "কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সভা, যা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার কথা, তা ঐক্যের প্রতীক হওয়া উচিত এবং বৈষম্য বৃদ্ধি করা উচিত নয়, এবং গত দেড় বছর ধরে ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি প্রকাশকারী জাতিগুলি এটাই প্রত্যাশা করে।"

ফিলিস্তিনি জাতীয় উদ্যোগ কমিটির মহাসচিব মুস্তাফা বারগুসিও জোর দিয়ে বলেছেন যে ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সভায় যা ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য এবং বৈঠকে শোনা অনুপযুক্ত বক্তব্য কোনওভাবেই ফিলিস্তিনি দলগুলোর ঐক্যে অবদান রাখে না বরং অভ্যন্তরীণ বিভেদকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

প্রতিরোধ বাহিনীর অস্ত্র হস্তান্তর সম্পর্কে আব্বাসের বক্তব্যের জবাবে বারগুসি বলেন: এটা কেবল একটি উপায়ে ঘটতে পারে, আর তা হলো: একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব।

পপুলার ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসামা আল-হাজ্জ আহমেদও আল-কুদস টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন: বর্তমান অগ্রাধিকার হলো একটি নতুন জাতীয় কাউন্সিল গঠন করা এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মহাসচিবদের একটি সভা আয়োজন করা, সেইসাথে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করা।#

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়