শিরোনাম
◈ বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক ◈ হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন ◈ আবারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি ◈ আজ গভীর রা‌তে বা‌র্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মু‌খোমু‌খি ◈ প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বড় সুখবর দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের জন্য ◈ টি-টোয়েন্টি সি‌রিজ খেল‌তে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ◈ আমার স্বামী চায় আমি খোলামেলা জামা পরি: মডেল পিয়া বিপাশা ◈ বিচারকাজে বাধা ও হুমকি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ◈ ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ঘর হস্তান্তর: সেনাবাহিনীর দক্ষতায় অর্ধেক খরচে সফল বাস্তবায়ন

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত, পারস্পরিক স্বার্থে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান বিশেষজ্ঞের

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত, পারস্পরিক স্বার্থে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান বিশেষজ্ঞের

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবিন্দর সাচদেব বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে স্থিতিশীলতার লক্ষণ দেখাচ্ছে। তিনি মনে করেন, ঢাকার ‘স্বার্থেই’ নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা এবং অর্থনৈতিক আদান-প্রদান বাড়ানো উচিত।

ভারতের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ রবিন্দর সাচদেব বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরও পারদর্শী হয়ে উঠছে। আর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে স্থিতিশীলতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তাঁর মতে, দুই দেশের স্বার্থেই সম্পর্ক জোরদার করা ও অর্থনৈতিক আদান-প্রদান বাড়ানো উচিত।

সাচদেব বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আবারও স্থিতিশীল হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে এবং বাংলাদেশও সম্ভবত আরও পারদর্শী হয়ে উঠছে।’ এই স্থিতিশীলতার পেছনে ভারতের ভারসাম্যপূর্ণ নীতিকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। সাচদেব বলেন, ‘ভারত ভারসাম্যপূর্ণ ও অনুমানযোগ্য খেলোয়াড়। আমাদের নীতি পেন্ডুলামের মতো দোলাচলে থাকে না।’

এই পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা এবং অর্থনৈতিক আদান-প্রদান বাড়ানো উচিত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা এবং ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক আদান-প্রদান বাড়ানো জরুরি। ভারত এর জন্য প্রস্তুত।’

এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সাচদেব বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, যার মধ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতাও অন্তর্ভুক্ত।’

এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জ্যাসওয়াল বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক’ গড়তে ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং প্রতিবেশী দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাঁর মন্তব্যের পরপরই সাচদেব এই অবস্থান ব্যক্ত করলেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রণধীর জ্যাসওয়াল বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। আমরা একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে আছি।’

গত আগস্টে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এরপর দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষুদ্রঋণে তাঁর কাজের জন্য তিনি বহুল প্রশংসিত। সংস্কার ও ঐক্যের জন্য তাঁর প্রতি উচ্চাশা আছে। অনুবাদ: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়