শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২৪, ০১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১১ জুন, ২০২৪, ১১:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব সর্বাধিক ৫৯টি সশস্ত্র সংঘাত দেখেছে ২০২৩ সালে: গবেষণা

ইমরুল শাহেদ: [২] নরওয়েভিত্তিক শান্তি ও সংঘর্ষবিষয়ক গবেষণা সংস্থা দ্য পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব অসলোর (পিআরআইও) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পিআরআইও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাদ্যম আল জাজিরা-ও এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

[৩] প্রতিবেদনের বরাতে এএফপি উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে ৫৯টি সংঘাত ঘটেছে তার মধ্যে শীর্ষে মধ্যে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ। এসব সংঘাতের ২৮টিই ঘটেছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে, ১৭টি এশিয়ায় আর মধ্যপ্রাচ্যে ১০টি। এছাড়া ইউরোপে তিনটি ও যুক্তরাষ্ট্রে একটি সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এসব সংঘাতের জেরে গত বছর বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

[৪] পিআরআইও’র গবেষক এবং গবেষণা প্রবন্ধের মূল লেখক সিরি আস রুস্টাড বলেন, ‘শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে, অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের পর থেকে বিশ্বজুড়ে সংঘাত বাড়ছে এবং বর্তমানে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দিন যতো গড়াচ্ছে, সংঘাত তত জটিল হচ্ছে এবং সংঘাত উসকে দেয়ার উপাদানের সংখ্যাও বাড়ছে।’

[৫] এই গবেষক আরও বলেন, গত কয়েক বছরে আল কায়দা সমর্থিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। সিরি আস রুস্টাড এএফপিকে বলেন, ‘এই তিন অঞ্চলের মধ্যে কিছু কিছু এলাকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, যে সেখানে সংঘাত হ্রাসের চেষ্টা শুরু করাও সম্ভব নয়।’

[৬] অন্যদিকে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে সংঘাত কবলিত দেশের সংখ্যা কমেছে। পিআরআইও’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যেখানে ৩৯টি দেশে সংঘাত চলছিল, সেখানে ২০২৩ সালে সংঘাত চলেছে ৩৪টি দেশে।

[৭] গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাতের সংখ্যা বাড়ার জন্য আংশিকভাবে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর বিস্তার এবং সাধারণভাবে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাওয়া নন-স্টেট নেতাদের দায়ী করা যেতে পারে। আর এসব সংঘাত এনজিওগুলির কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে। সম্পাদনা: রাশিদ

এমটি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়