ইকবাল খান: [২] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার নতুন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্র এস জয়শঙ্কর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নির্মলা সীতারামনকে পুনর্বহাল করেছেন। সূত্র: এনডিটিভি।
[৩] স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা।
[৪] বিবিসি জানায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার শরিক নির্ভর তৃতীয় ইনিংস যে কিছুটা আলাদা হবে, তা আন্দাজ করেছিলেন অনেকেই। শপথ গ্রহণের দিনও সেই ছবি ফুটে উঠল মন্ত্রিসভার কাঠামোতে।
[৫] ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার পূর্ণমন্ত্রী এবং স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীরা।
[৬] একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় শরিকদের ছেড়ে দিতে হয়েছে ১১টি মন্ত্রীর পদ।
[৭] বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় শরিকদের ছেড়ে দিতে হয়েছে পাঁচটি কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী, দুটো স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী আর চারটি প্রতিমন্ত্রীর পদও। সেই তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন তেলুগু দেশম পার্টির কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডু, জনতা দল ইউনাইটডের লাল্লন সিং, জনতা দল সেকুলারের এইচডি কুমারস্বামী, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস-এর চিরাগ পাসোয়ান, হিন্দুস্থান আওয়ামী মোর্চার জিতনরাম মাঝিঁ রয়েছেন।
[৮] এনডিএ’র শরিকদল থেকে যারা প্রতিমন্ত্রীর পদে রোববার শপথ নিয়েছেন তারা হলেন শিবসেনা’র প্রতাপরাও যাদব, রাষ্ট্রীয় লোকদলের জয়ন্ত চৌধুরী, রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া অঠওয়ালে’র রামদাস অঠওয়ালে, জেডিইউর রামনাথ ঠাকুর, আপনা দলের (সোনেলাল) অনুপ্রিয়া প্যাটেল এবং তেলেগু দেশম পার্টি’র চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি।
[৯] প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্ত্রিসভায় রয়েছে পুরানো এবং নতুন মুখ।
[১০] এনডিএ জোটে শরিকি জটের আভাস মিলেছিল প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের আগেই।
[১১] নতুন সরকারে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর পদের প্রস্তাব জানিয়ে বিজেপির তরফে ফোন করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ারের দল এনসিপির নেতা প্রফুল প্যাটেলকে।
[১২] সেই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট হননি প্রফুল প্যাটেল। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এর আগে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এসেছেন তিনি। নতুন মন্ত্রিসভায় তাকে যে পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে তার 'পদের অবনতি' হবে।
[১২.১] বিজেপির প্রস্তাবে অসন্তুষ্ট হন দলের প্রধান অজিত পাওয়ারও। দলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তারা অপেক্ষা করতে প্রস্তুত কিন্তু পূর্ণমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও পদের প্রস্তাবে রাজি হবেন না তারা।
[১৩] প্রসঙ্গত, 'ভারসাম্য' বজায় রাখতে নতুন-পুরানো মিলিয়ে মুখ বেছে নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার জন্য। ওই তালিকায় যারা স্থান পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৪৩ জন মন্ত্রীর দায়িত্ব আগে পালন করেছেন, ২৩ জন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। রয়েছেন সাতজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীও।
[১৪] তিনজন নতুন মুখও নতুন মন্ত্রিসভায় আছে।
[১৫] ২৯ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, ১০ জন তফসিলি, পাঁচজন সংখ্যালঘু এবং পাঁচজন জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি আছেন এবারের মন্ত্রিসভায়। কোনও মুসলিম মন্ত্রী নেই মন্ত্রিসভায়।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :