রাশিদুল ইসলাম: [২] তেরোটি বাঘের দেশ বার্ষিক ১৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের বিশাল ব্যবধান পূরণে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের লক্ষ্য স্থির করেছে। ভুটানের প্যারোর রয়্যাল একাডেমিতে প্রথম টেকসই বাঘ অর্থায়ন সম্মেলনে এতথ্য জানান ডব্লিউডব্লিউএফ’র প্রধান স্টুয়ার্ট চ্যাপম্যান। বিবিসি
[৩] বাঘের ল্যান্ডস্কেপ সংরক্ষণের জন্য ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি নতুন তহবিলের সূচনা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে জীববৈচিত্র বজায় রাখার জন্য, বাঘের আবাস হিসেবে বন রক্ষা করতে পারলে কার্বন নিঃসরণ কমে আসার পাশাপাশি ১শ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের সংস্থান সরবরাহ ছাড়াও বিশ্বের সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
[৪] স্টুয়ার্ট চ্যাপম্যান বলেন, সুযোগ, রাজনৈতিক ইচ্ছা, দেশের ল্যান্ডস্কেপ প্রেক্ষাপট এবং বাঘের তহবিল অব্যাহত রাখার উচ্চাকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে এই তহবিলটি বাঘের দেশগুলির মধ্যে ভাগ করা হবে।
[৫] ভুটানের মহামতি রাণী জেটসুন পেমা ওয়াংচুকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং টাইগার কনজারভেশন কোয়ালিশন এই সম্মেলনের আয়োজক ভুটান সরকার।
[৬] এই জোটের মধ্যে রয়েছে পরিবেশগত তদন্ত সংস্থা, প্রাণী ও উদ্ভিদ ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার, ন্যাচারাল স্টেট, প্যানথেরা, ট্রাফিক, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি, বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল এবং লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটি সহ বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় সংরক্ষণ সংস্থা।
[৭] সম্মেলনে ভুটানের রানি বলেছেন, এটা সত্যিই হৃদয়বিদারক যে বাঘ এখন বিপন্ন। আমাদের প্রজন্ম যদি বাঘের বিলুপ্তির সাক্ষী থাকে, তার মানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমরা যদি জীববৈচিত্রকে ক্ষয় হতে দেই, তাহলে এর মানে হল আমরা আমাদের মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা যদি বাস্তুতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে না পারি, তার মানে আমরা জীবনের সারাংশ হারিয়ে ফেলেছি। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল বাঘের ল্যান্ডস্কেপের জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সম্পদ সংগ্রহ করা।
[৮] ১৩টি বাঘের দেশের মধ্যে ১০টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :