সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কয়েক দফায় এ হামলা চালানো হবে। গণমাধ্যমের খবরে একথা বলা হয়েছে। ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচারে আরও বলা হয়েছে, এ জন্য রাফাহতে অবস্থিত প্রায় ১৪ লাখ বাস্তচ্যূত ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হবে। সূত্র: আনাদোলু
[৩] অজ্ঞাত সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কানের সংবাদদাতা ইতেই ব্লুমেন্টাল বলেন,, সেনাবাহিনী রাফাহতে আশ্রয়গ্রহণকরী বাস্তচূত লোকদেরকে সেখানে থেকে গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে সম্প্রতি প্রস্তত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হবে।[৪] ব্লুমেন্টাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এই অঞ্চলের অজ্ঞতনামা কয়েকটি দেশের কাছে স্থল হামলার এই পরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়েছে। রাফাহ শহরকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে কয়েক দফায় এ হামলা চালানো হবে এবং সেখানকার বাসিন্দাদেরকে তা আগাম জানানো হবে।
[৫] ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছেন, রাফাহ থেকে লোকদেরকে সরিয়ে নিতে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ লাগতে পারে। কানের সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাহতে হামলা পরিকল্পনার চতুর্থ সংশোধনী আনে। মার্কিন আপত্তির কারণে এ সংশোধনী আনা হয়।
[৬] কান সংবাদদাতা বলেন, অসামরিক লোকজনের প্রাণহানির আশংকার কারণে যুক্তরাষ্ট্র রাফাহতে স্থল অভিযানের বিরোধিতা করে। অবশেষে তারা অবশ্য অঞ্চলটিতে প্রবেশের গুরুত্বের কথা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।
[৭] গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০ দিন ধরে চলা এ হামলায় অন্তত ৩৪,২০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৭ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :