এম খান: [২] গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জারির পরিকল্পনায় উদ্বিগ্ন নেতানিয়াহু জরুরি বৈঠক করেছেন। সূত্র: টাইমস অব জেরুজালেম
[৩] চ্যানেল ১২ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসিসর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি কিভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে নেতানিয়াহু জরুরি বৈঠক করেন তিনজন মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।
[৪] শিগগির আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে বলে তেলআবিব ঈঙ্গিত পাওয়ার পরই ওই বৈঠক ডাকা হয়। বিষয়টি বিশেষ একটি সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে জানতে পেরেছে ইসরায়েলি সরকার।
[৫] ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর টাইমস অব ইসরায়েলকে এটা নিশ্চিত করেছে যে এ বৈঠক হয়েছৈ।
[৬] টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, বুধবার সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবকের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই পদক্ষেপ ঠেকাতে ব্রিটিশ ও জার্মান সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন নেতানিয়াহু। সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট
[৭] ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফর করেছিলেন আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়।
[৮] তিনি আরও বলেন, গাজায় যেসব সহিংসতা আগে হয়েছে, তা এখনো হচ্ছে। এসব সহিংসতা হামাস ও আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে করছেন করিম খান। এমনকি, এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :