এম খান: [২] বুধবার এক্স হ্যান্ডলের (সাবেক টুইটার) উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য পাকিস্তান সরকারকে নির্দেশ দিল সিন্ধু হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। সূত্র: দ্য ইকোনমিকস টাইমস, ফ্রান্স২৪
[৩] শাহবাজ সরকার মঙ্গলবার এক্স নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বুধবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয় ‘মাইক্রো ব্লগিং সাইট’টির অপব্যবহার রুখতেই এই পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জানায়, এক্স দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শনে ব্যর্থ। পাকিস্তান সরকারের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে সে দেশের বিভিন্ন আদালতে। সে রকম একটি মামলাতেই বুধবার বিকেলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় সিন্ধু হাই কোর্ট। সূত্র: আনন্দবাজার
[৪] ইসলামাবাদ হাই কোর্টে দায়ের করা এমনই একটি মামলার শুনানিতে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অপব্যবহারের কারণে এক্স-কে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব খুররম আগা স্বয়ং হাজির ছিলেন সেই শুনানি পর্বে। সিন্ধু হাই কোর্টেও একই যুক্তি দিয়েছিল শাহবাজ সরকার। কিন্তু প্রধান বিচারপতি আকিল আহমেদ আব্বাসি তা খারিজ করে বলেন, ‘‘আপনারা তুচ্ছ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? গোটা বিশ্ব তো আমাদের নিয়ে হাসছে!’’
[৫] প্রসঙ্গত, গত বছর দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারি, পাকিস্তান সরকারের কার্যকলাপে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সদ্যসমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে কারচুপি এবং জালিয়াতি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে এক্সে নানা অভিযোগ তুলেছেন দেশটির নাগরিক সমাজের একাংশ।
[৬] প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নানা ‘জনবিরোধী’ পদক্ষেপ, এমনকি ইসলামাবাদের বেলুচিস্তান নীতি নিয়েও খোলাখুলি সমালোচনা হয়েছে ওই সমাজমাধ্যমে। তারই পরিণতিতে এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করা হচ্ছে।
এমকে/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :