ইমরুল শাহেদ: [২] মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, প্রচণ্ড গরমে স্বাস্থ্যগত কারণে কারাগার থেকে অং সান সুচিকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এছাড়া গত বুধবার নববর্ষ উপলক্ষে তিন হাজার বন্দিকে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে। সূত্র: টাউনএ্যান্ডকান্ট্রিটুডে
[৩] মঙ্গলবার সামরিক সরকারের মুখপাত্র মে. জে. জো মিন তুন বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, শুধু সুচি নয়, একই কারণে ক্ষমতাচ্যুত সুচি সরকারের বয়োবৃদ্ধ প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও কারাগার থেকে সরানো হয়েছে। এ বিষয়টি এখনো মিয়ানমারের জনগণের কাছে প্রকাশ করা হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
[৪] বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৮ বছর বয়সী সুচির সরকারকে উৎখাত করা হয় এবং এরপর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাকে আটক করে রেখেছে। রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত অপরাধের দায়ে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
[৫] জান্তা সরকারের আনা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অং সান সুচি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুচির ছেলে কিম অ্যারিস বলেছিলেন, তাকে (অং সান সুচি) নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।
[৬] বিশ্ব নেতারা এবং গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা বারবার সুচির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
[৭] মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের একজন মুখপাত্র সুচি এবং দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
[৮] মুখপাত্র কিয়াও জাও বলেন, ‘তাদেরকে কারাগার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ভালো, কারণ কারাগারের চেয়ে ঘরগুলো ভালো। তবে তাদের অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাদের অবশ্যই অং সান সু চি এবং ইউ উইন মিন্টের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।
আইএস/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :