ইমরুল শাহেদ: [২] জার্মান রাজনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত মেয়ররা পদত্যাগ করতে চান। ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় রাজনীতিতে প্রায় ১১ হাজার মেয়রের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিন্তু হুমকির মুখে তাদের অনেকে এখন পদত্যাগ করতে চাইছেন।
[৩] গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফোরসাকে দিয়ে এ বিষয়ে একটি জরিপ করিয়েছে ক্যুরবার ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। জরিপে ছোট শহরের ৪০ শতাংশ মেয়র জানিয়েছেন তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে বিদ্রুপ, হুমকি বা এমনকি শারীরিক আক্রমণের মুখেও পড়েছেন। ২০২১ সালে ফোরসার করা আগের জরিপে পূর্ণকালীন নির্বাচিত মেয়রদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৫৭ শতাংশ।
[৪] এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে প্রতি চারজনের একজন মেয়র রাজনীতি ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন। এমনকি জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পৌরসভার নাগরিকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন। প্রতি পাঁচজনের একজন নিজের এলাকায় গণতন্ত্রবিরোধী মনোভাব বাড়ার কথা জানিয়েছেন। সংখ্যাটি পূর্ব জার্মানির ক্ষেত্রে চারজনে একজন, যেখানে সেপ্টেম্বরে তিনটি রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
[৫] জার্মানির ক্ষমতাসীন মধ্য-বাম রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সদস্য মিশায়েল ম্যুলার মনে করেন ঠুরিঙ্গিয়ায় তার নিজের শহর ভাল্টার্সহাউসেনে নিরাপত্তা হুমকি ক্রমাগত বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে তার বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগকারী ডিভাইস বসিয়ে যায়। রাতে তার গাড়িতে আগুন ধরে যা পরে তার বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি।
[৬] এর কিছুদিন আগে ম্যুলার উগ্র-ডানপন্থিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে করছেন না তিনি। এই ধরনের ঘটনা রাজনীতির প্রতি মানুষকে বিমুখ করে তুলবে বলে তার মত। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবছে, সমাজের জন্য আমার সময় বিলিয়ে দেয়ার আদৌ কোনো মানে আছে কিনা যার বিনিময়ে আমি বরং হুমকি পাচ্ছি।’
[৭] এমন অবস্থায় সামনের দিনে সিটি কাউন্সিলর, স্থানীয় কাউন্সিল কিংবা মেয়র পদে লোকজন খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তার। সম্পাদনা: রাশিদ
আইএস/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :