শিরোনাম
◈ দেশকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা : প্রধানমন্ত্রী ◈ খান ইউনুসে চলছে প্রচণ্ড লড়াই : আটকা পড়েছে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ দেশের ৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্র্যাকিং করে ১৫ হাজার ফুট উচুতে ভোট নিতে যাবে পোলিং কর্মীরা

খুররম জামান: [২] শতশত কোটি রুপি খরচ, ট্র্যাকিং করে পোলিং কর্মীরা ১৫ হাজার ফুট উচুতে ভোট নিতে যাবে মাত্র কয়েকজন ভোটারের জন্য। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনে এ নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হবে চার রাজ্যে। একইসঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে ১৩টি রাজ্যে। ভোট গণনা ও ফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন। ভারতের নির্বাচন সম্পর্কে সিএনএন বিশ্লেষণ করেছে। 

[৩] সারা ভারতে ১০ লাখের বেশি ভোট কেন্দ্রে ইলেকট্রনিকভাবে ভোট দেওয়া হবে। দেড় কোটি নির্বাচনী কর্মী মোতায়েন করা হবে, প্রতিটি ভারতীয় ভোটারের কাছে পৌঁছানোর জন্য রাস্তা, নৌকা, উট, ট্রেন এবং হেলিকপ্টার দিয়ে ভ্রমণ করবেন তারা।

[৪] ১৫২৫৬ ফুট ( ৪৬৫০ মিটার) উচ্চতায়, তাশিগাং, চীনের সীমান্তবর্তী হিমাচল প্রদেশের একটি গ্রাম সেখানেও ভোট নিতে যাবেন কর্মীরা। ২০২২ সালের রাজ্য সরকারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল তখন বিশ্বের সর্বোচ্চ উচুতে ভোট কেন্দ্র ছিল। এবার প্রায় ৯৬.৮ কোটি মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য যোগ্য - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়ার জনসংখ্যার চেয়ে বেশি।

[৫] ভারতের রাজনীতি ধর্মীয় দিকে ক্রমবর্ধমান মেরুকরণ হয়ে গেছে এবং সমালোচকরা বলছেন যে আরও পাঁচ বছরের মেয়াদ মোদির ডানপন্থী বিজেপিকে তার নীতিগুলো চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ম্যান্ডেট দেবে যা দেশটিকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র থেকে হিন্দুত্ববাদী দেশে রূপান্তরিত করবে।

[৬] ৭৩ বছর বয়সী মোদি ২০১৪ সালে উন্নয়ন ও দুর্নীতিবিরোধী শ্লোগান তুলে  সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কল্যাণ ও সামাজিক সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য তাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের দৃশ্যমান মঞ্চে ২০১৯ সালে সহজেই দ্বিতীয় মেয়াদ অর্জন করেন। সেই নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ এরও বেশি ভারতীয় তাদের ভোট দিয়েছিলেন - যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোট। বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, স্বাধীনতার পর থেকে ৬৭ বছরের বেশির ভাগ সময় ধরে দেশকে শাসন করেছে কিন্তু এখন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় নিয়োজিত আছে। 

[৭] মোদীর আরেকটি জয় ঠেকানোর প্রয়াসে, কংগ্রেস প্রধান আঞ্চলিক দলগুলো সহ অন্যান্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে জোট গঠন করে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স, বা ইন্ডিয়া, "গণতন্ত্র বাঁচানোর" একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলে মাত্র কিছুদিন আগে। গান্ধী পরিবারের বংশধর রাহুল গান্ধী কংগ্রেস দলের মুখ কিন্তু অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছে আম আদমি পার্টির জনপ্রিয় নেতা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

[৮] পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দক্ষিণের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মুথুভেল করুণানিধি স্টালিনের মতো আঞ্চলিক হেভিওয়েটরাও রয়েছেন, যারা তাদের নিজ নিজ রাজ্যে বিজেপির দখলে বাধা দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।  মোদি এখনও তাদের দূর্গ সম্পূর্ণ  ভাঙতে পারেননি। 

[৯] বিরোধী দলগুলো অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য এখনও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনোও প্রার্থীকে সামনে রাখতে পারেনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সহ বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন  সদস্যকে গ্রেপ্তার বা তদন্ত করা হয়েছে। কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলো স্থগিত করে রাখা হয়েছে।  অন্যদিকে বিজেপি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ অস্বীকার করেছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

কেজে/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়