শিরোনাম
◈ খান ইউনুসে চলছে প্রচণ্ড লড়াই : আটকা পড়েছে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ দেশের ৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:০২ দুপুর
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ায় রেস্তোরাঁ, শপিং মলে ভারতীয়দের প্রবেশে বাধা

এম খান: [২] দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রকাশ্যেই ভারতীয়েরা বৈষম্যের শিকার হন। সব জেনেও দেশটির সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয় না। 

[৩] দেশটিতে কোনও বর্ণবৈষম্যবিরোধী আইন নেই। অবাধেই সেখানে চলে বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল ছাড়াও বুসান, দায়েগু, ইঞ্চেওনের মতো বড় শহরের অভিজাত ক্লাব, রেস্তোরাঁ এবং হোটেলের বাইরে বড় বড় সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ভারত-বিরোধী সংলাপ, ‘ভারতীয়রা নিয়ম মানেন না। তাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।’

[৪] শুধু হোটেল, রেস্তোরাঁ নয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের অভিজ্ঞতাও খুব একটা ভাল নয়। তাঁদের কাছ থেকে জানা যায়, পথেঘাটে উঠতে-বসতে কতটা বৈষম্য এবং ঘৃণার শিকার হন ভারতীয়েরা।

[৫] দক্ষিণ কোরিয়ার শপিং মল, দোকান-বাজারেও ভারতীয়দের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় অনেক সময়েই। দেশটিতে টিকতে না পেরে অনেকেই ভারতে ফিরে এসেছেন।

[৬] দক্ষিণ কোরিয়ায় বাহ্যিক সৌন্দর্যকে এতটাই প্রাধান্য দেওয়া হয় যে, কলেজ পাশ করার পর ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে উপহার হিসাবে পান প্লাস্টিক সার্জারির খরচ। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেদের আরও ‘সুন্দর’ করে তোলেন তাঁরা।

[৭] দেশের বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির ইন্টারভিউতেও সৌন্দর্যকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কে কত সুন্দর দেখতে, কার গায়ের রং কতটা উজ্জ্বল এবং ফর্সা, তার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়।

[৮] সৌন্দর্য এবং বর্ণের ভিত্তিতে বৈষম্য কোরিয়ার চাকরির বাজারে একসময় এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, নিয়োগ নিশ্চিত করার আগে কোনও কর্মচারীর মুখ না দেখার নিয়ম চালু হয়েছিল বেশ কিছু সংস্থায়।

[৯] ভারতীয়দের সম্পর্কে কোরিয়ার লোকজনের মধ্যে সাধারণ একটি বিদ্বেষ, ঘৃণার মনোভাব কাজ করে।  ভারতীয় অর্থেই তাঁদের কাছে ‘নোংরা’, ‘বর্বর’ এবং ‘অস্পৃশ্য। যদিও এই ধরনের মানুষের ব্যতিক্রম আছে।

[১০] দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যেই অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, অসরকারি সংগঠন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের চেষ্টাও চলছে। 

[১১] বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় সংস্কৃতি, রীতি-রেওয়াজ সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষদের কিছু বদ্ধমূল ভুল ধারণা রয়েছে। তা দূর করা দরকার। তার জন্য দুই দেশের মধ্যে আদানপ্রদান আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে। তবেই ঘুচবে দূরত্ব।

এমকে/আইএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়