ইমরুল শাহেদ: [২] পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন আসিফ আলী জারদারি ও মাহমুদ খান আচাকজাইয়ের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে ডন। আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এজন্য দুই প্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। দেশটির শীর্ষ এই পদের জন্য জোটের প্রার্থী হলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থী পাখতুনখোয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিকেএমএপি) প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাই
[৩] পাকিস্তানে গত মাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল পিটিআইকে বাইরে রেখেই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতার মধ্যদিয়ে শেষ হয় ভোটগ্রহণ। কারচুপি হয় ফলাফলেও। এরপরও পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ৯৩টি আসনে জয় নিশ্চিত করেন।
[৪] ফলাফলের দিক দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও আসিফ আলি জারদারির পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)।
[৫] নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রথম অধিবেশন বসে। ওইদিনই শপথ গ্রহণ করেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা।
[৬] এরপর রোববার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটিতে পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুবকে হারিয়ে দেশের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পিএমএল-এন-এর প্রার্থী শাহবাজ শরিফ।
[৭] আচাকজাই এবারের নির্বাচনে বেলুচিস্তানের কিলা আবদুল্লাহ-কাম-চমনের এনএ-২৬৬ আসন থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এরই মধ্যে পিটিআই ও সুন্নি ইত্তিহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) জোটের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। এখন তিনি জমিয়ত উলামা ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) নেতা মাওলানা ফজলুর রেহমানের সমর্থন চাইছেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আইএস/এমটি
আপনার মতামত লিখুন :