বর্তমান সময়ে ঘরে-বাইরে সর্বত্র ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস সাধারণ হয়ে গেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমের সময় Wi-Fi বন্ধ রাখা শরীর ও যন্ত্রপাতি দুই দিক থেকেই উপকারী হতে পারে। আশ্চর্যের বিষয়, অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এ বিষয়ে সচেতন নন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা: যদিও Wi-Fi রেডিয়েশনকে ক্ষতিকর প্রমাণ করার যথেষ্ট তথ্য নেই, ঘুমের সময় এটি বন্ধ রাখলে অপ্রয়োজনীয় তরঙ্গ থেকে দূরে থাকা যায়। ব্যবহারকারীরা জানান, এতে ঘুম আরও গভীর ও স্বস্তিদায়ক হয়।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়: সারারাত Wi-Fi চালু রাখলে অযথা বিদ্যুতের খরচ বাড়ে। বন্ধ রাখলে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা সম্ভব এবং মাসিক বিলও কম হয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: রাতে দীর্ঘসময় Wi-Fi চালু থাকলে হ্যাকারদের আক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। Wi-Fi অফ রাখলে সাইবার সুরক্ষা বাড়ে।
ডিভাইসের আয়ু বৃদ্ধি: অবিরাম ব্যবহারে রাউটার ও অন্যান্য ডিভাইসে চাপ পড়ে। মাঝে মাঝে বন্ধ রাখলে ডিভাইসের কর্মক্ষমতা ও আয়ু বাড়ে।
কখন Wi-Fi বন্ধ রাখা ঠিক নয়?
যদি আপনার বাড়িতে স্মার্ট ডিভাইস থাকে যেমন—ক্যামেরা, স্মার্ট লাইট, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, তাহলে রাতে Wi-Fi বন্ধ রাখলে এসব ডিভাইস কাজ করবে না। স্মার্ট হোম অটোমেশনও স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে না।
রাতে Wi-Fi বন্ধ রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা শরীরের স্বাস্থ্যের, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের, সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিভাইসের আয়ু বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।