শিরোনাম
◈ ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্বের সুযোগ শেষ ◈ দেশের পথে খালেদা জিয়া ◈ টানা দুই দফা কমার পর আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বকেয়া প্রায় ৯০ কোটি ডলার! ◈ তথ্য-উপাত্ত সঠিক না থাকায় ফ্যাসাদ তৈরি হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সমস্যা নিরসন হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাতাসের মান যাচাইয়ে রাজধানীর ২৫ যায়গায় বসবে আধুনিক যন্ত্র: ডিএনসিসি   ◈ অবৈধ অভিবাসন বন্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রস্তাব ইতালির, আরও লোক নিতে আগ্রহী ◈ সারাদেশে ৫০০-এর বেশি ব্যক্তির একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে: এনআইডি ডিজি ◈ চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা: স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২৫, ০১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাকরি ছেড়ে এক দম্পতির ফ্রিল্যান্সিং জয়ের গল্প 

সাইফ নাসির : সারাদিন ঘরে বসে কম্পিউটার টেপাটিপি করে মানেই বেকার ! এমন ফ্রিল্যান্সিং ট্যাবু থেকে এখনও মুক্ত হতে পারেনি আমাদের সমাজ। তাই ফ্রিল্যান্সিং করে যতোই টাকা কামাক, বিয়ের আগে ওই ছেলেকে একটা স্থায়ী চাকরি দেয়ার চেষ্টা মামা-চাচারা করতেই থাকে। 

এবার এই ধারণাটি আরেকটু ভেঙ্গে দিলেন ঢাকার এক দম্পতি। স্বামী স্ত্রী দুজনেরই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন পুরোদমে করছেন ফ্রিল্যান্সিং। ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে গড়ে উঠেছে এক দম্পতির স্বপ্ন। জুবায়ের এবং জান্নাতাতুন নাইম—উভয়েই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। সন্তান ও সংসার নিয়ে এক সাধারণ জীবন কাটালেও, তাদের ইচ্ছাশক্তি ছিল অসাধারণ। সেই ইচ্ছাশক্তিই আজ তাদের এনে দিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে স্বীকৃতি, স্থিতিশীল আয় এবং আত্মনির্ভরশীল জীবন।


ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে জুবায়েরের গ্রাফিক ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সিং কোর্স সম্পন্ন করে  ফ্রিল্যান্সিং এ যাত্রা শুরু করেছিলেন।  কিন্তু বাস্তবতা ছিল কঠিন। কোন ইনকাম করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ফুল টাইম চাকরিতে প্রবেশ করেন। তবে মনের কোনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ জিইয়ে রেখেছিলেন।


একদিন হঠাৎ ফেসবুকে চোখে পড়ে একটি বিজ্ঞাপন—ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং কোর্স। যোগাযোগ করেন, বিশ্বাস রাখেন এবং সাহসিকতা দেখিয়ে চাকরি ছেড়ে ভর্তি হন। এখানেই ঘটে মোড় ঘোরানো পরিবর্তন। সঠিক গাইডলাইন, দক্ষ মেন্টর এবং নিয়মিত সাপোর্টের কারণে কোর্স চলাকালীনই তিনি প্রথম আয় শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি মার্কেটপ্লেসে হয়ে ওঠেন টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার।


জুবায়েরের মনে হতো—“আমি যদি না থাকি, আমার পরিবার কিভাবে চলবে?” এই ভাবনা থেকেই তিনি স্ত্রী জান্নাতাতুন নাইমকে শেখাতে শুরু করেন ডিজিটাল স্কিল। সন্তান সামলে ঘরে বসেই নাইম শুরু করেন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা। কিছুদিনের মধ্যেই তিনিও হয়ে ওঠেন সফল ফ্রিল্যান্সার, আয় শুরু করেন প্রতি মাসে ভালো অংকের টাকা।

আজ এই দম্পতি শুধু নিজেরাই নয়, অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। তারা প্রমাণ করেছেন—সঠিক দিকনির্দেশনা, আন্তরিকতা এবং একে অপরের পাশে থাকার মানসিকতা থাকলে ঘরে বসেও আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

তাদের গল্প কেবল সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এবং দম্পতিদের জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ—“স্বপ্ন দেখো, শিখো, এগিয়ে চলো।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়