নিজস্ব প্রতিবেদক : ম্যাচটা দুই দলের জন্যই ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ছিলো এটি শেষ ম্যাচ। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসানের আগ্রাসী শুরু এনে দিলেও পরের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় খুব বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি দল।
কিন্তু বোলারদের নৈপুণ্যে সেই রানটিই তাড়া করতে পারেনি আফগানিস্তান। ৮ রানের জয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করলেও নেট রানরেট খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি লিটন দাসের দল।
মঙ্গলবার আবু ধাবিতে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে তানজিদের ফিফটির সুবাদে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৪৬ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।
বৃহস্পতিবার এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটিতে আফগানিস্তান জিতলে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে সুপার ফোরে তাদের যাওয়াই প্রায় নিশ্চিত। যদি না আফগানিস্তান অবিশ্বাস্য ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারায়। তখনই কেবল শ্রীলঙ্কার নেট রানরেট পেরিয়ে সুপার ফোরে উঠবে বাংলাদেশ।
তাই পরের পর্বে যেতে বাংলাদেশের বাস্তব সম্ভাবনা কেবল শ্রীলঙ্কা জিতলেই। দেশটির পানেই তাই তাকিয়ে এদেশের কোটি সমর্থক।
উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এনে এদিন সফল হয় বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইফ ও তানজিদের কল্যাণে ১১ ইনিংস পর প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ রানের দেখা পায় দল। তবে পাওয়াপ্লে শেষ হতেই থামে এই জুটিও।
সপ্তম ওভারে প্রথমবারের মতো বল হাতে নিয়ে সাইফকে (৩০) বোল্ড করে ৬৩ রানের এই জুটি ভাঙেন রশিদ খান। দ্রুত সাজঘরের পথ দেখেন অধিনায়ক লিটন (৯)। নূর আহমেদের প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর আরও কমতে থাকে রানের গতিও।
২৮ বলে ফিফটি হাঁকানো তানজিদ নূরের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ফেরেন দলীয় ১০৪ রানে। এরপর আফগান ঘূর্ণিতে রীতিমত ধুঁকতে শুরু করেন ব্যাটাররা। ১১ বলে ১১ রানে ফেরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। আসর জুড়ে ধুঁকতে থাকা তাওহিদ হৃদয় ফেরেন ২০ বলে ২৬ রান করে।
পাওয়াপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তোলা দল পরের ১৪ ওভারের মধ্যে মাত্র দুই ওভারে ১০ বা তার বেশি রান নিতে পেরেছে। জাকের আলী ও নুরুল হাসান সোহান মিলে শেষ ১১ বলে তুলতে পারেন মাত্র ১৫ রান। এর মধ্যে পাঁচ বলে কোনো রানই নিতে পারেননি তারা। চারটি বল লেগ সাইডে মারতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতেই ব্যর্থ হন জাকের।