স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল গত ৩০ মে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তখনই জানিয়েছিলেন, তিনি এসেছেন ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে’।
মূলত বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবর মাসে। দায়িত্ব নেয়ার পর নির্বাচনের সময় বেশি নেই বলেই তেমনটা বলেছিলেন বুলবুল। --- ক্রিকফ্রেঞ্জি
তিনি দায়িত্ব নেয়ার প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেছে। এখন মেয়াদ আছে আর এক মাসের মতো। তবে এখন তিনি দায়িত্বে আরও দীর্ঘমেয়াদি ভাবনায় আছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বুলবুল জানান, তিনি নির্বাচন করবেন না।
তবে সুযোগ থাকলে দায়িত্বে থাকতে চান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে আসা এই সভাপতি দায়িত্বে থাকা প্রসঙ্গে নির্ভর করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর।
তিনি বলেন, 'আমি তো বলেছি আমি কখনো নির্বাচন করব না। আমি কীভাবে নির্বাচন করব? নির্বাচন করতে যে রসদগুলো লাগে সেটা আমার নেই। আমি ফ্রি ফ্রি ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল থেকে এসেছি। তারা যদি আমাকে কন্টিনিউ করে, থাকব, চেষ্টা করব।'
'বিভ্রান্তি আছে অনেক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তো ১২০ বলে খেলতে হয়। সেটাতো তো দুই ওভারে শেষ হয়ে যায় না। সবকিছু নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। এখন লম্বা ইনিংস খেলার চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসিবি নির্বাচন না-ও হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুলবুল জানান, নির্বাচন সময়মতোই হবে এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে অপ্রয়োজনীয় আলোচনার প্রয়োজন নেই।
ক্রিকেট পরিচালনা পর্ষদের প্রায়োরিটি হচ্ছে ক্রিকেট চালানো। নির্বাচন চার বছর পরপর হয়। সময় যেহেতু চলে এসেছে, সেটা ঠিক সময়েই হবে। যারা পূর্ণ সদস্য আছে তাদের নির্বাচন নিয়ে কিন্তু আন্তর্জাতিক নিউজ হয় না। আমরাই সিরিয়াসলি নেই।
'আমরা এখন যারা ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদে আছি, আমাদের ফোকাস ক্রিকেট। অবশ্যই নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে। সেটার জন্য যে আমাদের নির্বাচন কমিশন এবং আনুষাঙ্গিক কাজ সেগুলো দ্রুত জানতে পারবেন।'
যুব এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার চাওয়ায় আইসিসির চাকরি ফেলে বাংলাদেশে ছুটে এসেছিলেন বুলবুল। দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিসিবির সর্বোচ্চ পদের। এই পদে নিজের কাজের ছোটো একটি উদাহরণও টানেন বুলবুল।