স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপ হকি খেলতে ভারতে যাচ্ছে না পাকিস্তান। পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর আবহে ভারতে দল পাঠাচ্ছে না পাক হকি সংস্থা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে হকি ইন্ডিয়ার শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ভারতে এশিয়া কাপের জন্য দল পাঠাতে রাজি নয় পাকিস্তান।
২৭ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এশিয়া কাপ হকি প্রতিযোগিতা। আয়োজক দেশ ভারত ছাড়াও এশিয়া কাপের ১২তম সংস্করণে অংশ নেওয়ার কথা জাপান, কোরিয়া, চিন, মালয়েশিয়া, ওমান, চাইনিজ তাইপে এবং পাকিস্তানের। আগামী বছর নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামে বসতে চলেছে বিশ্বকাপের আসর। তার আগে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব এই এশিয়া কাপ।
এই ঘটনা, পহেলগাঁও হামলার পর আদৌ পাক দলকে ওই প্রতিযোগিতার জন্য ভিসা দেওয়া হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার পাক হকি দলকে ভিজসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ভিসা পাওয়ার পর বেঁকে বেসেছে পাকিস্তানই। পাক হকি ফেডারেশনের তরফে হকি ইন্ডিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ভারতে দল পাঠাতে পারছে না। সে দেশের সরকারও নাকি ভারতের মতোই অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানও ভারতে কোনওরকম দল পাঠাতে নারাজ। যার ফলে এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে না পাকিস্তানের। তবে পাকিস্তান না থাকলেও এশিয়া কাপ হকি সাত দলেরই হচ্ছে। পাকিস্তানের বদলে ওই টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বাংলাদেশকে।
আবার, ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর চেন্নাই এবং মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের। সেখানেও কিন্তু অনিশ্চিত পাকিস্তান।
এদিকে এশিয়া কাপ ক্রিকেট এবার হবে দুবাই ও আবুধাবিতে। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে টুর্নামেন্ট। ফাইনাল ২৮ সেপ্টেম্বর। ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রথম ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত–পাক মহারণ হওয়ার কথা। কিন্তু সেই ম্যাচ আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে যুবরাজ, ধাওয়ানরা খেলতে রাজি হননি। এর ফলে ভয়ানক রেগে গিয়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদিরা। এখন দেখার এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি হন কিনা সূর্যকুমার যাদবরা।
এদিকে এশিয়া কাপ এবার হবে টি২০ ফর্ম্যাটে। তাই দলে খুব একটা বদলের সম্ভাবনা নেই। এখনও অবধি যা পরিস্থিতি তাতে পুরনো স্কোয়াডই ধরে রাখা হতে পারে। সামান্য কিছু পরিবর্তন হলেও হতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে এই ফরম্যাটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার অভিষেক শর্মাকে। সঙ্গী সঞ্জু স্যামসন। তিন নম্বরে তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটার তিলক বর্মা। এরপর ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে দেখা যেতে পারে পাঁচে। ছয়ে থাকবেন আর এক ফিনিশার রিঙ্কু সিং। সাতে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল।
তবে দুবাই ও আবুধাবির পিচ স্পিন সহায়ক হওয়ায় পরিস্থিতি অনুয়ায়ী তিন স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনা প্রবল। অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তী থাকবেন। তৃতীয় স্পিনার নিয়ে একটু ভাবনার জায়গা রয়েছে।
কুলদীপকে সুযোগ দেওয়া হবে নাকি রবি বিষ্ণোই তা নিয়ে একটা জল্পনা রয়েছে। পেস বোলিংয়ে এখনও অবধি যা খবর অর্শদীপ সিং থাকবেন। পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। নেওয়া হতে পারে হর্ষিত রানাকে। বুমরা বা রানার মধ্যে এক জন হয়ত থাকবেন স্কোয়াডে।