স্পোর্টস ডেস্ক : এক জরিপ শেষে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিনোদনমূলক ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে করা এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে আইপিএল। সবশেষ সাতে অবস্থান বিগ ব্যাশের। মূলত পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই র্যাংকিং।
সমালোচনা, আলোচনা আর বিতর্কের কারণে বরাবরই প্রশ্ন ওঠে বিপিএলের মান নিয়ে। বিসিবির কর্তারা বিপিএলকে বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর একটি দাবি করলেও তা নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন। এবার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিনোদনমূলক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের তালিকায়ও ঠাঁই পেলো না বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া লিগের।
তালিকার সবার ওপরে রয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ— আইপিএল। সর্বোচ্চ ৫ পয়েন্টের মধ্যে আইপিএল পেয়েছে ৪.৫৩। দুইয়ে আছে পাকিস্তান সুপার লিগ, পিএসএল; যার স্কোর ৩.৯০।
তিনে থাকা আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টির স্কোর ২.৪৪। এরপর ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড; যার স্কোর ১.৯৭। পাঁচে থাকা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ- সিপিএল পেয়েছে ১.৬০।
১.২৩ স্কোর নিয়ে ছয়ে জায়গা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি-টোয়েন্টি এবং এই তালিকার সবশেষ নাম অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, যার স্কোর ১.০৪।
মূলত এই তুলনা করতে বেশকিছু মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন: কতগুলো ম্যাচ শেষ বলে বা শেষ ওভারে গড়িয়েছে। প্রতি ম্যাচে চার-ছক্কার গড় সংখ্যা, ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা, ডট বলের শতাংশ, ম্যাচপ্রতি আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার এবং স্পিনার না পেইসার, – কোন ধরনের বোলার বেশি উইকেট পাচ্ছেন।
আইপিএলে সাড়ে ১৩ শতাংশ ম্যাচ শেষ হয়েছে শেষ বলে, দ্যা হান্ড্রেড ১৩.৪০ শতাংশ ম্যাচে আর সবার শেষে আছে এসএ টি-টোয়েন্টি।
ম্যাচপ্রতি গড়ে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারিও হয়েছে আইপিএলেই। গড়ে বাউন্ডারি এসেছে ৪৪টি। সমান বাউন্ডারি হয়েছে পিএসএলেও। এদিক থেকে তলানীতে বিগ ব্যাশ ও দ্য হান্ড্রেড। একশো বলের খেলা হওয়ায় দ্য হান্ড্রেড স্বভাবতই ঠাঁই পেয়েছে শেষে।
এদিকে, স্পিনাররা সবচেয়ে বেশি উইকেট পান সিপিএলে। ৪৩ শতাংশ উইকেট নেয় স্পিনাররা। আর ৭২ শতাংশ উইকেট নিয়ে পেইসারদের দাপটে শীর্ষে বিগ ব্যাশ।
এভাবে প্রতিটা লিগ যখন বিভিন্ন মানদণ্ডে কে কার চেয়ে এগিয়ে থাকবে সেই প্রতিযোগিতায়, তখন কোনো আলোচনাতেই নেই বিপিএল। সবাই যখন শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে, বিপিএল ঘিরে যেন ততই বাড়ছে বিতর্ক আর হারাচ্ছে দর্শক জনপ্রিয়তাও। বিষয়টা এমন হয়ে গেছে যেন; বিপিএল আছে, বিপিএল নেই।