শিরোনাম
◈ এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে জরুরি নির্দেশনা মাউশির ◈ রাজনৈতিক বিশ্বাসের অপবিত্রতা দূর করতে: গাজীপুরে বিএনপি কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়ে শুদ্ধি অভিযান  ◈ ভিসা মিললেও পা‌কিস্তান এশিয়া কাপ হকিতে ভারতে দল পাঠাতে রাজি নয়  ◈ পুমাস‌কে হা‌রিয়ে লিগস কা‌পের কোয়ার্টার ফাইনালে মে‌সির ইন্টার মায়ামি  ◈ কাশারি বাড়ির কবরস্থানজুড়ে আজও বুকফাটা কান্না ◈ আজ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ শুরু: সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ◈ চেতনানাশক খাওইয়ে কুড়িগ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের ১২ মাসে ১২ সাফল্যের কথা জানালেন প্রেসসচিব ◈ এবার ভারতীয় মিডিয়ার রোষানলে শেখ হাসিনা! কাঠগড়ায় মোদি (ভিডিও) ◈ এক হচ্ছে দেশের তিন দ্বীপ, নতুন ভূমি, নতুন সম্ভাবনা: স্পারসোর গবেষণা

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধ্বংস ডেকে আনলেন নেতানিয়াহু, নিজের তৈরি ‘দানব’ এখন তার দিকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে!

হামাস একটি মৌলবাদী সংগঠন, যার মূলনীতি ইসরায়েলের ধ্বংস। তবুও নেতানিয়াহু ও তার মিত্ররা হামাসের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার মধ্যে সুবিধা দেখেছেন। উভয় পক্ষই একে অপরের অস্তিত্ব থেকে লাভবান হয়েছে: হামাস শান্তির বিরোধিতা করেছে, আর নেতানিয়াহু এর উপস্থিতিকে ব্যবহার করেছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (পিএ) দুর্বল করতে, ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে বিভক্ত করতে এবং অর্থবহ শান্তি আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার যুক্তি দাঁড় করাতে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দীর্ঘদিনের কৌশল ছিল দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে দুর্বল করা — যার একটি অংশ হিসেবে তিনি পরোক্ষভাবে হামাসকে শক্তিশালী করেছেন। এই কৌশল অবশেষে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ভয়াবহভাবে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

হামাস একটি মৌলবাদী সংগঠন, যার মূলনীতি ইসরায়েলের ধ্বংস। তবুও নেতানিয়াহু ও তার মিত্ররা হামাসের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার মধ্যে সুবিধা দেখেছেন। উভয় পক্ষই একে অপরের অস্তিত্ব থেকে লাভবান হয়েছে: হামাস শান্তির বিরোধিতা করেছে, আর নেতানিয়াহু এর উপস্থিতিকে ব্যবহার করেছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (পিএ) দুর্বল করতে, ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে বিভক্ত করতে এবং অর্থবহ শান্তি আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার যুক্তি দাঁড় করাতে।

এই কৌশলের সূচনা ১৯৯৬ সালে নেতানিয়াহুর প্রথম মেয়াদ থেকেই, যখন ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের এক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে — যাতে হামাসের শীর্ষ নেতা মুসা আবু মারজুককে প্রত্যার্পণ করতে বলা হয়েছিল, যদিও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এর পক্ষে ছিল।

পরবর্তী সময়ে নেতানিয়াহু পিএকে একের পর এক দুর্বল করে গেছেন এবং হামাসকে বিদেশি অর্থায়নের সুযোগ দিয়েছেন — যার মধ্যে ছিল কাতার থেকে প্রতি মাসে নগদ অর্থ পাঠানো — এবং তার শাসনামলেই গাজা থেকে রেকর্ড সংখ্যক শ্রমিকের জন্য ইসরায়েলে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এসব পদক্ষেপ হামাসের গাজায় শাসনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে এবং একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে বিভক্ত করেছে। নেতানিয়াহুর উপদেষ্টারা এই কৌশল নিয়ে খোলাখুলিভাবেই বলেছেন, যেমন কেউ বলেছেন “হামাস একটি সম্পদ”, আবার কেউ বলেছেন তারা “একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়েছে।”

যেসব অবাধ ও সুষ্ঠু ফিলিস্তিনি নির্বাচন শক্তিশালী আলোচনাকারী নেতৃত্ব তৈরি করতে পারত, সেসব বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে — প্রায়ই ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের কারণে — যার ফলে একধরনের রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, যা নেতানিয়াহু কাজে লাগিয়েছেন।

তবে এই নীতিই শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাস ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালায়। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আগে থেকেই নেতানিয়াহুকে বাড়তে থাকা হুমকির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু হামাসকে “নিরাপদ” ও “নিয়ন্ত্রিত” মনে করার নেতানিয়াহুর ধারণা মারাত্মক ভুল প্রমাণিত হয়।

পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, নেতানিয়াহুর ক্ষমতা রক্ষার জন্য শান্তি এড়িয়ে যাওয়া ও হামাসকে পরোক্ষভাবে শক্তিশালী করার এই কৌশলই এক দানবে পরিণত হয়েছে — যে অবশেষে তার দিকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়