স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের বড় বড় ক্রিকেটারদের মতো ফিট থাকতে চাইতেন। এজন্য নিয়মিত জিম করতেন প্রিয়জিৎ ঘোষ। কিন্তু জিম করতে গিয়েই যে প্রাণ চলে যাবে, তা কি কেউ জানতেন! এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। জিম করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সেই মারা গেছেন ওপার বাংলার এই তরুণ ক্রিকেটার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার বোলপুর শহরের মিশন কম্পাউন্ড এলাকায় জিম করার সময়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিয়জিৎ। এসময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর নিকটবর্তী বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রিয়জিতের পরিবার জানিয়েছে, বোলপুরের মিশন কম্পাউন্ড এলাকার স্থানীয় এক জিমে তিনি প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চা করতেন। শারীরিক দিক থেকে তরতাজা এবং ফিট থাকাই ছিল তার লক্ষ্য। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও তিনি গিয়েছিলেন জিমে। সেখানেই মর্মান্তিক পরিণতি হয় তার। প্রিয়জিতের বাড়ি জামবুনিতে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) আয়োজিত আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন প্রিয়জিৎ। এই পারফরম্যান্সের জন্য সিএবি’র পক্ষ থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলে ভারতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু মাত্র ২২ বছর বয়সে থেমে গেল সেই সব সম্ভাবনা।
প্রিয়জিতের আকস্মিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিস্মিত অনেকে। বন্ধুমহলে, ক্রিকেটমহলে নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রিয়জিতকে যাঁরা চিনতেন, তারা শোকে ভেঙে পড়েন। তাঁদের বিশ্বাসই হচ্ছে না এই বয়সে তরতাজা এক ক্রিকেটারের জীবন চলে যাবে! তবে প্রিয়জিতের মৃত্যু ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও।
চিকিৎসকরা বলছেন, কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। যা ইদানীং উদ্বেগজনকভাবে ক্রমশ বেড়েই চলছে। অনেকেই এর জন্য কোভিডকে দায়ী করছেন। কিন্তু প্রিয়জিৎ নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন। তাঁর মতো একজন ফিট ক্রিকেটার এভাবে মৃত্যুর কোলে কীভাবে ঢলে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।