স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম ম্যাচেই আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে জয়ে ত্রিদেশীয় যুব ওয়ানডে সিরিজের শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পরের ম্যাচে জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিমরা হারিয়েছেন স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকেও। টানা দুই জয়ে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে সাউথ আফ্রিকার কাছে। ---- ক্রিকফ্রেঞ্জি
দ্বিতীয় দেখায় নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রোটিয়াদের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। তিন ম্যাচের একটিতে হেরে দুইয়ে নেমে গেছে সফরকারীরা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জয়ের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি সাউথ আফ্রিকার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জুরিখ ভ্যান শেলভিককে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন আল ফাহাদ। ডানহাতি পেসারের বলে রিফাত বেগের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬ রান করা শেলভিক। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন মুহাম্মদ বুলবুলিয়া ও আরমান মানাক।
৪২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা বুলবুলিয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন দেবাশীষ সরকার। অধিনায়ককে হারানোর পর প্রোটিয়াদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মানাক ও জেসন রোয়েলস। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছে মানাকের বিদায়ে। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা মানাক ৭৮ বলে ৫৭ রান করে ফিরেছেন ইকবাল হোসেন ইমনের বলে।
একটু পর আউট হয়েছেন রোয়েলসও। ৪৯ বলে ৪১ রান করা এই ব্যাটারের উইকেট নিয়েছেন ফাহাদ। পরবর্তীতে বান্দিলে এমবাতার উইকেট নিলেও বাংলাদেশকে জেতাতে পারেননি ফাহাদ। ১৩.১ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেন সাউথ আফ্রিকা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন জাওয়াদ। দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ৭ রানে। আরেক ওপেনার রিফাত ফিরেছেন ৯ রান। সাউথ আফ্রিকা সফরে ভালো করলেও ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না রিজান হোসেন।
এমবাতার বলে আউট হওয়ার আগে ১৭ রান করেছেন তিনি। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহও ফিরেছেন দ্রুতই। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আজিজুল হাকিম। দলের রান একশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আউট হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়কও। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শেষের দিকে সফরকারীদের একাই টেনেছেন কালাম সিদ্দিকী অ্যালিন। ৬১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। কালামের এমন ইনিংসেই শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সাউথ আফ্রিকার হয়ে রোয়েলস তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন এটান্ডো সোনি ও বুয়ান্দা মাজোলা।