স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচটি ছিলো শ্রীলঙ্কার জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সিরিজের শেষ ওয়ানডে। এদিন ২৯০ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আগের দুই ম্যাচের আগ্রাসী ব্যাটিং হিসেবে লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই ছিল নিউ জিল্যান্ডের। কিন্তু সফরকারী পেসারদের দাপটের সামনে এক মার্ক চ্যাপম্যান ছাড়া দাঁড়াতে পারল না কেউই। আর এতেই ১৪০ রানের জয় দিয়ে সফর শেষ করেছে লঙ্কানরা।
শনিবার অকল্যান্ডে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাতুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস ও জানিত লিয়ানাগের ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে লঙ্কানরা। জবাবে ২৯ ওভার ৪ বলে ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজও ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
কিউইদের হয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়া চ্যাপম্যান করেন ৮১ বলে ৮১ রান। লঙ্কানদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আসিথা ফের্নান্দো, মহীশ থিকশানা ও ইশান মালিঙ্গা। রান তাড়ায় প্রথম ৭ ওভারের ভেতর ২১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় কিউইরা। সাজঘরে ফেরা প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই সাজঘরের পথ দেখেন রানের খাতা খোলার আগেই।
এক প্রান্ত আগলে রেখে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকা চ্যাপম্যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৪৬ বলে। কিন্তু অপর প্রান্তে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে আর কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় স্বাগতিকরা ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে তাকে বোল্ড করে ইনিংসের ইতি টানেন থিকশানা।
এর আগে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নিসাঙ্কা। তবে ৩১ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করার সময় মাংশপেশীতে টান পড়ে এই ওপেনারের। এরপর আর ব্যাটিং চালিয়ে যেতে না পারায় মাঠ ছাড়েন তিনি। সঙ্গী মাঠ ছাড়ার খানিকবাদেই সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার আভিষ্কা ফের্নান্দো।
তবে তৃতীয় উইকেটে কুশল ও কামিন্দু মেন্ডিসের জুটিতে এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে লঙ্কানরা। ৫৪ রান করা কুশলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মিচেল স্যান্টনার। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা (০) ও কামিন্দু (৪৬)। চতুর্থ উইকেট পতনের পর আবার ব্যাটিংয়ে নামা নিসাঙ্কা ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ৪২ বলে ৬৬ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান স্যান্টনার। শেষ দিকে লোয়ার-অর্ডারদের নিয়ে জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ৫৩ রান করা লিয়ানাগে। সিরিজ সেরা ম্যাট হেনরির শিকার ৪ উইকেট। স্যান্টনার নেন ২ উইকেট।
