ধর্মশালায় দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের কঠোর জবাবই দিচ্ছিলেন পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা। কিন্তু ১০.১ ওভার পরই স্টেডিয়ামের আলো নিভে যায়। পরপরই ভারতের মিডিয়াগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়, জম্মু-কাশ্মীরসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এরপর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্রিকবাজের ধারাবিবরণীতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা শঙ্কা থেকে সবাইকে দ্রুত স্টেডিয়াম ছাড়তে বলা হয়। যদিও পরক্ষণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বিসিসিআই দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এনডিটিভি, টাইম অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মুর পাশাপাশি রাজস্থান, পাঞ্জাবের একাংশেও হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানে। হামলা শুরু হতেই ওই তিন রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে আলো। পাঞ্জাবের রাজধানী চন্ডিগড়ে সাইরেন বাজানো হচ্ছে। অমৃতসরেও ‘ব্ল্যাক আউট’ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত সংলগ্ন রাজস্থানেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ওই রাজ্যের পোখরানে পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। জম্মু ও কাশ্মীরেও পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সেখানকার রাজৌরিতে পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জম্মু ও কাশ্মীরের সব সেনাঘাঁটিতে আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উরি সেক্টর লক্ষ্য করে ক্রমাগত ধেয়ে আসছে মর্টার। এর মধ্যে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার রেশ ধরে বদলে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের ১১ মের ম্যাচের ভেন্যুও। ধর্মশালা থেকে ম্যাচটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহমেদাবাদে। ধর্মশালা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে। এই ভেন্যুতে আজকেই শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।
ঘটনার শুরু পহেলগাম হামলা থেকে। পর্যটকদের ওপর হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে দুই দিন আগে দেশটির ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ভারত। এতে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের পাশাপাশি পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাওয়ালপিন্ডিতে ড্রোন হামলা করেছে ভারত। যার কাছেই অবস্থান রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম। এখানেই আজ পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। শঙ্কা থেকে পিএসএল কর্তৃপক্ষ ম্যাচটি স্থগিতই করতে বাধ্য হয়।