বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর নিরাপত্তা দেবে সরকার। বিমানবন্দর থেকেই তিনি এসএসএফ’র নিরাপত্তা বলয়ে থাকবেন বলে সরকারি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে এসএসএফ’র নিরাপত্তা দেয়া হয়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ২রা ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওইদিন দুপুর থেকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এসএসএফ দায়িত্ব পালন শুরু করে। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তারেক রহমানকে এসএসএফ’র নিরাপত্তা দেয়া হতে পারে সরকারের তরফ থেকে। এর আগে এই সুবিধা পেতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে বিএনপি। তারেক রহমান ছাড়া জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানকেও এসএসএফ’র নিরাপত্তা দেয়া হতে পারে বলে আলোচনা আছে।
এদিকে দেশে ফেরার দিনে বিমানবন্দর থেকে এভার কেয়ার হাসপাতাল ও গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত তারেক রহমানের যাত্রাপথে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এছাড়া ওইদিন তার নিরাপত্তা উপলক্ষে মাঠে থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশের সোয়াট টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। তার বাসা ও অফিস ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে পুলিশ। গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসাটি কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সিদ্ধান্তের কথা জানার পর তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশপ্রধান বাহারুল আলম, ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে তারেক রহমানকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন নজরুল ইসলাম বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা তাকে পুলিশ প্রটেকশন দেবো। এ ছাড়া আরও নানামুখী ব্যবস্থা থাকবে। সূত্র: মানবজমিন