শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় চীনের উদ্বেগ ◈ নিজের মতো সময় এবং জায়গা বেছে নিয়ে এটার জবাব দেবে পাকিস্তান: লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ ◈ ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ দিয়ে পাকিস্তানে হামলা করেছে ভারত, এটি যেভাবে কাজ করে ◈ ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তাৎক্ষণিক যেসব পদক্ষেপ নিলো পাকিস্তান ◈ পাকিস্তানের পালটা হামলায় ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ ◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: ডলারের বিপরীতে দাম কমল ভারতীয় রুপির ◈ শেখ হাসিনার 'উস্কানি': ঝটিকা মিছিলে বিপাকে আওয়ামী লীগ, ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ◈ পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক, ভারতের পাশে ইসরাইল! ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সেলোনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লি‌গের ফাইনালে ইন্টার মিলান  ◈ ভারত-পাকিস্তান সহিংসতায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫২ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবু সাঈদ হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেফতার

সাজ্জাদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, বেরোবি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান দুই আসামি পুলিশ সদস্য এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে তাদের পিবিআই -এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন।   এই দুই সদস্য পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন। আজ তাদের মহানগর পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে ১৮ আগস্ট মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, পুলিশ সদস্য সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।

এর আগে, গত ৩ আগস্ট এই দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদকে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে একাধিকার গুলি করেন।


পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন বলেন,   এই দুই সদস্য পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন। আজ তাদের মহানগর পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলার বাদী রমজান আলী বলেন, আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য মামলা করেছি। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যারাই অপরাধী তাদের আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়