হাসান মাহবুব : এমি হচ্ছেন ব্যাকবেঞ্চের সেই রকস্টার, যে বন্ধুদের জন্য জীবন দেয়, আর শত্রুদের জন্যে ত্রাস হিসেবে কাজ করে। আপনি যখন মাইর খেয়ে বোকার মতো পাছা হাতড়াবেন, আর নাক মুছবেন তখন আপনার এই ব্যাকবেঞ্চার বন্ধুটি বুক চিতিয়ে এসে দাঁড়িয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবে ফাঁপড় মারানো উঁচুক্লাসের পোলাটাকে। শিক্ষকেরা তাকে ডেকে নিতে পারে ডিটেনশন রুমে। তাকে নিয়ে ঘনঘন প্যারেন্টস মিটিং বসবে।
শাস্তি দেওয়া হবে তাকে নিয়ম ভঙ্গের জন্যে, চোখ রাঙানো হবে, মিসকন্ডাক্টের জন্যে, তার ওপর পর্বতের মতো চেপে বসবে ডি গ্রেড, কিন্তু সে কোনোভাবে একটা উপায় বের করে নিবে সামনে এগিয়ে যাবার।
ব্যাকবেঞ্চার আর ব্যাডবয় হওয়া মানেই যে বিশেষ কিছু, তা কিন্তু না। এদের অনেকেই স্কুলজীবনের গ্লোরিফাইড মোমেন্টগুলো অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে শূন্যহাতে বসে পড়বে ভবিষ্যতের নিষ্ঠুর পথ পরিক্রমায়। তাদের জীবনীশক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু এমি সেরকম নয়। তাকে অতো সহজে দমিয়ে রাখা যাবে না। এমি আমাদের একটা বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সে না থাকলে আমরা জিততে পারতাম না।
তাঁর পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট আচরণ নিয়ে বিচার দিলে দেন, জরিমানা করলে করেন। আমাদের ওসব পোছার টাইম নাই।
সে যদি আপনার নিকৃষ্টতম শত্রু হয়, তো আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু। আমরা এখন ব্যাকবেঞ্চে বসে সামনের বেঞ্চের ছেলেদের মাথায় চক ছুঁড়ে মারার মজার খেলাটা খেলবো। আপনি কখনও খেলেননি এটা? ফেসবুক থেকে