ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর মূল পরীক্ষা এনএসওয়ান, আইজিজি ও আইজিএম করানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ফি বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষা করাতে রোগীদের এখন থেকে মাত্র ৫০ টাকা ফি দিতে হবে, যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে একই পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক অফিসিয়াল নির্দেশনায় এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ফি নীতিমালা কার্যকর থাকবে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ।
নির্দেশনায় বলা হয়, ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য প্রধান পরীক্ষাগুলো হলো- এনএসই, আইজিজি ও আইজিএম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ফি নিতে পারবে, তবে এর বেশি নেয়া যাবে না। এ ছাড়া সিবিসি পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।
তবে সরকারি হাসপাতালে এনএসওয়ান, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা আগের ১০০ টাকার চেয়ে অর্ধেক কম মূল্যে করানো যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর আগে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত মূল্যের বেশি ফি নেয়া যাবে না। যদি কোথাও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একইসঙ্গে আরেক নির্দশনায় দেশে চলমান ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের সময় যেকোনো জ্বর বা ডেঙ্গুর সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করানোর প্রতি সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেঙ্গুনিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।