রাজধানীতে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টাকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব।
পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের ২৪ ঘণ্টার টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম তো আছেই, তবে ভোরবেলায় অপরাধীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। এ কারণে ছিনতাই, চুরি, কিশোর গ্যাং ও নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিটকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ইবনে মিজান বলেন, “ভোর থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই সময় রাস্তাঘাটে জনসমাগম কম থাকে, তাই অপরাধীরা সক্রিয় হওয়ার ঝুঁকি থাকে।”
এদিকে বনানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোরে ঝটিকা মিছিল করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। একই ধরনের কর্মসূচি আগের দিন ধানমণ্ডিতেও পালিত হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করা একাংশের ওপরও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ি ও উত্তরা এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাওয়া কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসীও ফের সক্রিয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার করায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশ্বস্ত করেছে—এটি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই নেওয়া উদ্যোগ।