শিরোনাম
◈ সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৪০ শিক্ষার্থী ঢামেকে ◈ উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সময় লাগবে: ডা. সায়েদুর রহমান ◈ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছেন (ভিডিও) ◈ ২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত ◈ বি‌সি‌বির সিদ্ধান্ত প‌রিবর্তন, স্টেডিয়ামে আর খাবার নিয়ে যেতে পারবে না দর্শকরা ◈ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সাহায্য দিতে হিসাব নং ◈ নিহতদের কবরস্থানের জন্য উত্তরা ১২ নম্বরের সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ ◈ বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১: আইএসপিআর ◈ মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত অন্তত তিনজন ◈ মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২৫, ১২:০২ দুপুর
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রশিক্ষণ ফ্লাইট কেন ঢাকায়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতর বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অনেক শিশুর প্রাণহানির ঘটনায় ঢাকার মত জনবহুল শহরের ওপর প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে।

কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, এরকম জনবহুল এলাকায় তো বিমানবন্দরই ‘থাকার কথা না’। তাতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি আরও অনেকরকম ঝুঁকিও তৈরি হয়।

আর বিমান বাহিনীর একজন সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, বিমান বাহিনীর প্রাথমিক ও এর পরের ধাপের প্রশিক্ষণ হয় ঢাকার বাইরে। ঢাকায় কোনো কর্মকর্তা বদলি হয়ে এলে তাকে ঢাকায় থাকা উড়োজাহাজগুলো দিয়ে আবার প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

সোমবার এরকমই প্রশিক্ষণে ছিলেন বৈমানিক তৌকির ইসলাম। এদিন মাইলস্টোন স্কুল ভবনে বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে; দগ্ধ ও আহত হয়েছে দেড় শতাধিক।

নিহতদের মধ্যে ১৭ জন শিশু থাকার তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতির এই শহরে প্রশিক্ষণ বিমান পরিচালনা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দায়ী কর্তপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি ওঠেছে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তার ফেইসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, “কেন জনবহুল এলাকায় যুদ্ধ বিমানের প্রশিক্ষণ চালানো হয় তার জবাব দিতে হবে, এর জন্য দায়ী ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। নিহত ও আহতদের সঠিক পরিসংখ্যান দিতে হবে।”

আবুল কালাম আজাদ নামে একজন লিখেছেন, “প্রশিক্ষণ বিমান কেন এত ঘনবসতির শহরের ওপর উড়বে। এখানে একটা ইট ফেললেও তো কারও না কারও মাথার ওপরে পড়ে।”

দেশের এভিয়েশন বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এটিজেএফবির সভাপতি তানজীম আনোয়ার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ বিষয়ে সাংবাদিকতা করছেন। তিনি বলেন, “এ ঘটনা আমাদের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে যে ঢাকার মত একটা চরম ঘনবসতিপূর্ণ শহরের মাঝখানে একটা বিমানঘাঁটি প্রয়োজন কতটুকু।

“দেখুন এর আগেও বাংলাদেশে সামরিক ও বেসামরিক বেশ কিছু প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেই দুর্ঘটনাগুলো জনবহুল এলাকায় না হওয়ায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। আমরা শুনেছি এই বৈমানিকও চেষ্টা করেছিলেন বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যেতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি, জীবন দিয়েছেন তিনিও।”

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় উড়োজাহাজ চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার বিষয়ে জানতে মতামত চাইলে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম প্রথমেই ঢাকার ভেতর বিমানবন্দর থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, “এত ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় বিমান বন্দর কেন? এখানে তো বিমানবন্দরই থাকার কথা না। “তবে প্রশিক্ষণ ফ্লাইটগুলো ঢাকার বাইরে হতে পারে। এটা কক্সবাজারে হতে পারে, যশোরে হতে পারতো, রাজশাহীতে হতে পারতো। কেন ঢাকা?”

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহেদুল বলছেন, “আমি গত কয়েক বছর থেকেই বলে আসছি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরটাকে স্থানান্তর করে শহরের বাইরে নেওয়ার সময় চলে এসেছে। ১৯৬৪ সালে যখন এই বিমানবন্দর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় ও পরিকল্পনা করা হয় তখন পাকিস্তানের প্রাদেশিক একটি রাজধানীর বিমানবন্দর হিসেবে এটি বিবেচিত হয়। তখন গুটিকয়েক এয়ারক্রাফট এখানে ওঠানামা করত। আর তখনকার দিনে উত্তরা, টঙ্গী, আশুলিয়ার দিকে কোনো বসতিই ছিল না। এই বিমানবন্দর যখন ১৯৮১ সালে উদ্বোধন হল, তখনও ওই এলাকাগুলোতে সেভাবে বসতি ছিল না। তারপরে যেভাবে জনবসতি বেড়েছে ওইসব এলাকায়, এটাতো এখন উদ্বেগজনক অবস্থা।”

তিনি বলেন, “উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাগুলো ঘটেই কিন্তু দুটো সময়ে। একটা হচ্ছে ভূমি থেকে ওড়ার সময় (টেক অফ) আরেকটা হচ্ছে ভূমিতে নামার (ল্যান্ডিং) সময়। এই দুটো সময় হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিন্তু টেকঅফও করছে ঘনবসতির ওপর দিয়েই আবার ল্যান্ডিংও করছে ঘনবসতির ওপর দিয়েই।

“এটা আমাদের জন্য ভয়ানক একটা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে। এখানে একটা প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়াতে কতগুলো শিশুর প্রাণহানি হল। আর যদি তিন-চারশ যাত্রী নিয়ে কোন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হত, তাহলে কী অবস্থা হত সেটা ভাবতে চাই না।

“একটা যাত্রী বিমানে প্রশিক্ষণ বিমানের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি জ্বালানি থাকে, তাতে আগুনও অনেক বাড়ে। এরকম হলে তখন আমরা কী করতাম?”

“যার জন্যে আমরা যদি দেখি পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো কিন্তু পর্যায়ক্রমে বিমানবন্দরগুলোকে শহরের বাইরে নিয়ে গেছে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর সব জায়গায় কিন্তু তারা বিমানবন্দর স্থানান্তর করেছে।

“আমাদের এই বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল কিন্তু করারই দরকার ছিল না। ২০১০ সালে ঢাকার বাইরে বিমানবন্দর নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। একটা উদ্যোগ ছিল। তারপর কিন্তু আর এটা হল না।”

প্রশিক্ষণ ফ্লাইট কেন ঢাকায়? যা জানা গেল

বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত এয়ারভাইস মার্শাল ও দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানকে যখন এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হয়, তিনি শুরুতে বলেন, আজকের শিশুদের হতাহতের ঘটনায় তিনি ভীষণ ব্যাথিত, কথা বলার অবস্থায় নেই।

“আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের এমন দুরাবস্থা দেখতে পারছি না। এটা খুব কষ্টদায়ক একটা ঘটনা।”

এর পরে তিনি তার মতামত দেন, কেন ঢাকায় প্রশিক্ষণ হচ্ছিল তাও ব্যাখ্যা করেন।

মফিদুর রহমান বলেন, “আমাদের বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে দুর্ঘটনা প্রতিনিয়তই হয়। আমরা এটার জন্য প্রস্তুত ও অভ্যস্ত। সব দেশেই এটা হয়। যেখানেই বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন হবে, আমরা যতটাই, শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করি, তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং ঘটে।

“সারা পৃথিবীর সব বিমান বাহিনীতেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বৈমানিকরা আহত-নিহতও হন। পাশাপাশি আরও কিছু ক্ষয়ক্ষতি (কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ) হতে দেখা গেছে। কিন্তু মাইলস্টোনের ক্ষয়ক্ষতি একেবারেই চিন্তাতিত, অকল্পনীয়। এরকম একটা স্কুলে (বিমান) পড়ে, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক আরও অনেকেই ছিলেন সেখানে।”

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজগুলোতে বেশি সংখ্যক উড্ডয়ন ঘণ্টার রেকর্ডধারী এই বৈমানিক বলছেন, “শুধু প্রশিক্ষণ বিমান না। যে কোনো বিমানের জন্যই ওড়ার ও অবতরণের সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই উড্ডয়ন ও অবতরণের পথও এজন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা মাটির খুব কাছে থাকে। এই সময় বেশি কৌশল প্রয়োগ করার সুযোগ থাকে না। নিয়ন্ত্রণ থাকে না বৈমানিকের, যে কিছু সমস্যা হলে সরে যাবে। আর গতিও কম থাকে, উচ্চতাও কম থাকে। আর যুদ্ধ বিমান অচল হয়ে গেল তো ঠাস করে পড়ে যাবে।

“এজন্য বিমান বন্দরগুলোর ওড়ার ও নামার পথে ভবনের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। যখন একটা বিমানবন্দর তৈরি করা হয়, বর্তমান যুগে নগর পরিকল্পনায় ওড়ার ও নামার পথে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এগুলো দেওয়া হয় না। এর একটা কারণ হচ্ছে ঝুঁকি, আরেকটা কারণ হচ্ছে শব্দ।”

মাইলস্টোন স্কুলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে শিশুদের প্রাণহানির ঘটনায় সকলেই শোকাহত, এ কথা তুলে ধরে মফিদুর রহমান বলেন, “আমরা শোকাহত, কিন্তু আমাদের যুক্তিনির্ভরও হতে হবে। আপনি দেখেন ভারতে যে উড়োজাহাজটি বিধ্স্ত হল, সেটা কিন্তু খুব উঁচুতে ছিল না। কিন্তু সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপরে পড়েছে।

“আর আমাদের এই উড়োজাহাজটা অবতরণ করতে আসছিল না। এটা, এই উড়োজাহাজে বৈমানিক তৌকিরের প্রথম একক উড্ডয়ন ছিল। তাকে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়েই এতে পাঠানো হয়েছে। এখন তদন্তে বেরিয়ে আসবে কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল, না পরিচালনার।

যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সরাসরি উড়োজাহাজটির অবতরণের পথে নয় তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরাসরি ওড়া-নামার পথে হলে এটা উত্তরা বা নিকুঞ্জতে এসে পড়তো। এই দুর্ঘটনাস্থলের অবস্থানটা বিমানবন্দর থেকে একটু পশ্চিম-উত্তর দিকে। ওই এলাকাগুলোতে উড়োজাহাজ উড়তে থাকা অবস্থায় অপেক্ষা করতে (হোল্ডিং) যায়।”

বিমান বাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তার মতে, রানওয়ে সরিয়ে নিয়ে বা বিমান বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে চিন্তা করলে তো হবে না।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ঢাকায় কিন্তু বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণগুলা সেভাবে হয়ও না। বিমান বাহিনীর প্রাথমিক প্রশিক্ষণটা হয় যশোরে। এরপর অ্যাডভান্সড ট্রেনিংটা হয় চট্টগ্রামে। কিন্তু ঢাকাতে যে উড়োজাহাজগুলো আছে কোনো বৈমানিক এখানে (বদলিজনিত) এলে পরে তাকে এগুলোতে পাঠানো হয় এবং প্রশিক্ষণ দিতে হয়। যে কর্মকর্তা আজ প্রাণ হারালেন অন্য উড়োজাহাজে কিন্তু তার প্রশিক্ষণ হয়ে গেছে।

“উড়োজাহাজ চালানো কিন্তু গাড়ির মত না যে একটা চালাতে পারলেই সব চালানো যায়। এখানে উড়োজাহাজের ধরন পরিবর্তন করলে তাকে একটা নির্দিষ্ট ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হয়, এর একটা সিলেবাস আছে। প্রথমে প্রশিক্ষকের সঙ্গে করতে হয়, পরে তাকে একা উড্ডয়ন করতে হয়। এটাকে অপারেশন ঘোষণা করা হয়।”

ঢাকা বিমান বাহিনীর থাকা না থাকা সার্বভৌমত্বেরও প্রশ্ন, এমন মন্তব্য করে মফিদুর রহমান বলেন, “এখন আবেগ কাজ করছে আমাদের…কিন্তু আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য, শুধু আমাদের না, যে কোনো দেশের জন্যই বিমান বাহিনী রাখতেই হবে। এবং কিছুটা প্রশিক্ষণ সব জায়গায় চলবে। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে প্রশিক্ষণের মান বাড়িয়ে আর আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে।

“আমি যতোটুকু জানি, আমাদের বিমান বাহিনীতে নিরাপত্তার বিষয়ে কখনো আপোস করা হয় না। উড়োজাহাজাগুলো পুরনো হলেও এগুলোর নিরাপত্তার মান বজায় রাখা হয়।

“এসময় অনেকেই দাবি করছেন, বিমান বাহিনীর সক্ষমতা কমে গেছে, যেহেতু নতুন নতুন উড়োজাহাজ কেনা হয় নাই। দেশের আর্থিক অবস্থার কারণেই হয়তো কেনা যায়নি। যেটার প্রক্রিয়া এখন চলছে। কিন্তু আজকের দুর্ঘটনার সঙ্গে যদি এটা মিশিয়ে ফেলি যে এখানে কোনো প্রশিক্ষণ হবে না, এটা ঠিক হবে না।

“আমি তো সমুদ্রে গিয়ে আকাশে উড়তে পারবো না সব সময়। তাহলে তো এই বিমান বন্দরটিকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে। এতো হাজার হাজার এয়ারলাইন্স আসতেছে তাদের তো জায়গা দিতে হবে। আবার বিমান বাহিনীর জন্য যদি আপনি লালমনিরহাটে ঘাঁটি করে দেন তবুও ঢাকাকে রক্ষা করার জন্য কিন্তু কৌশলগত কারণেই কিছু উড়োজাহাজ এখানে রাখতে হবে। এবং এখানে নতুন যে বৈমানিক আসবেন তাকে ওই উড়োজাহাজে প্রশিক্ষণও দিতে হবে।”

তবে এভিয়েশন সাংবাদিক তানজীম আনোয়ার বলছেন, “এখন ঢাকায় যে এভিয়েশন হাব গড়ে উঠেছে আমাদের নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সে দিকটায় খেয়াল রাখা উচিৎ। দিয়াবাড়িতে যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরে ওঠা-নামার একটা কাছাকাছি পথ। সেখানে একটি ছোট প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ না হয়ে বড় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো।” সূত্র: বিডিনিউজ ও যমুনাটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়